কারাবাখ জয়ের পর আজারবাইজানে এরদোয়ান

আজারবাইজানের প্রতি সমর্থন জানানোর উদ্দেশ্যে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ২৫ সেপ্টেম্বর, সোমবার দেশটি সফর করেছেন। এরদোয়ান এবং আজারবাইজানীয় প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ নাগোর্নো-কারাবাখে বাকুর সামরিক বিজয়কে স্বাগত জানিয়েছেন।

আজারবাইজানে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান (ডানে)

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান সোমবার আজারবাইজানের নাখচিভান অঞ্চল পরিদর্শন করেন। সে সময় ইলহাম আলিয়েভ তাকে উষ্ণভাবে স্বাগত জানান। গত সপ্তাহে কারাবাখে আর্মেনিয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে সামরিক বিজয়লাভ করে আজারবাইজান। আলিয়েভ বলেছেন, এ বিজয় এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে।

আলিয়েভের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা গর্বিত যে এটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়েছে।'  তিনি নিহত আজারবাইজানি সৈন্যদের উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের শহীদ ভাইদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছি।' 

গত সপ্তাহে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীর ২৪ ঘন্টার সামরিক অভিযানের ফলে নাগর্নো-কারাবাখের আর্মেনিয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য হয়েছিল।

যুদ্ধের বেশ কয়েক দিন পর ২৪ সেপ্টেম্বর, রোববার শরণার্থীদের প্রথম দলটি কারাবাখ থেকে আর্মেনিয়ায় পৌঁছেছে। সোমবার আর্মেনিয়া জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৬৫০ জন দেশটিতে প্রবেশ করেছে। 

এদিকে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান জানিয়েছেন, প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার বেসামরিক নাগরিক নাগর্নো-কারাবাখ ছেড়ে আর্মেনিয়ায় চলে আসতে পারে। কারণ জাতিগত নির্মূলের আশংকায় তারা নিজের মাতৃভূমি ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হবে।

উল্লেখ্য, নাগর্নো-কারাবাখ আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসাবে স্বীকৃত। কিন্তু এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই জাতিগত আর্মেনিয়ান। ফলে তারা আজারবাইজানের অধীনতা মানতে রাজি নয়। আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান এই অঞ্চল নিয়ে দুইবার যুদ্ধ করেছে। সর্বশেষ ২০২২ সালে ৪৪ দিনের যুদ্ধ শেষে আজারবাইজান আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে জয়লাভ করে। 

সূত্র: ডেইলি সাবাহ, আল জাজিরা