প্রধানমন্ত্রী: অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটলে কোনো ক্ষমা নেই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

যুক্তরাজ্যের মেথোডিস্ট সেন্ট্রাল হল ওয়েস্টমিনস্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে আয়োজিত একটি কমিউনিটি রিসেপশনে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসবাদ বা একইভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা বা হামলার ঘটনা ঘটলে কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না।’

প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন যে বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩-১৪ সালে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ বহু মডেলের যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে জনগণকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছিল। তথাকথিত আন্দোলনের নামে।

তিনি বলেন, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নারীসহ অনেক লোক গুরুতর দগ্ধ হয়েছে এবং তারা তাদের আঘাতে অমানবিক জীবনযাপন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। সন্ত্রাসবাদে অগ্নিসংযোগ করে মানুষ হত্যা এবং দেশের সম্পত্তি নষ্ট করা তাদের আন্দোলন। আপনি এর আগে ২৯ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছেন। আমার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের জীবন নিয়ে এমন কোনো চেষ্টা করা হলে কোনো করুণা করা হবে না।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন যে বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলার যোগ্য নয়, কারণ তারা জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে খেলেছে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণ কখনই ভোট কারচুপিকারীদের ক্ষমতায় বসতে দেয় না।

প্রধানমন্ত্রী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন যে তার সরকার নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য সমস্ত সংস্কার করেছে।

তিনি বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করেছেন এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পটভূমিতে খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার করতে বলেছেন।

বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিকভাবে উন্নত করতে তার সরকারের পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে।