আপনি পড়ছেন

আজারবাইজান ইসরায়েলি অস্ত্রের সাহায্যে নাগর্নো-কারাবাখ পুনরুদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে আর্মেনিয়ান কর্মকর্তারা। গত মাসে আজারবাইজানের কারাবাখ আক্রমণের আগে দেশটিতে শক্তিশালী অস্ত্র সরবরাহ করেছিল ইসরায়েল। যার ফলে জাতিগত আর্মেনিয়ান ছিটমহলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় আজারবাইজান।

israeli arms quietly helped azerbaijan retake nagorno karabakhফাইল ছবি

ইসরায়েলে নিযুক্ত আর্মেনিয়ার রাষ্ট্রদূত আরমান আকোপিয়ান মার্কিন বার্তা সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘আমাদের জন্য এটি একটি বড় উদ্বেগের বিষয় যে ইসরায়েলি অস্ত্রগুলো দিয়ে আমাদের জনগণের ওপর গুলি চালানো হচ্ছে।'

আকোপিয়ান জানিয়েছেন, ইসরায়েলি অস্ত্র চালান নিয়ে তিনি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটির রাজনীতিবিদ এবং আইন প্রণেতাদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি এপিকে বলেছেন, ‘যেসব মানুষ তাদের মাতৃভূমি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে তাদের ভাগ্য নিয়ে অন্তত কিছু উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত ইসরায়েলের। কিন্তু আমি তাদের মধ্যে এ রকম কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।'

গত মাসে আজারবাইজান নাগর্নো-কারাবাখে হামলা করে। সে সময় আজারবাইজানীয় বাহিনী ভারী কামান, রকেট লঞ্চার এবং ড্রোন ব্যবহার করেছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব অস্ত্র ইসরায়েল এবং তুরস্ক সরবরাহ করেছে। আর এসব অস্ত্রের সাহায্যে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আর্মেনিয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরাজিত করে আজারবাইজান। ফলে তারা অস্ত্র ফেলে দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়েছিল।

আজারবাইজানের বিজয়ের পর ১ লাখের বেশি জাতিগত আর্মেনিয়ান নাগর্নো-কারাবাখ থেকে পালিয়ে আর্মেনিয়া চলে যায়। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান দেশত্যাগের এই ঘটনাকে জাতিগত নির্মূল বলে উল্লেখ করেছেন।

আজারবাইজানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, স্থানীয় বাসিন্দারা নিজের ব্যক্তিগত ইচ্ছা এবং সিদ্ধান্ত অনুসারে কারাবাখ ছেড়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে জোরপূর্বক স্থানান্তরের কোনো সম্পর্ক নেই।

উল্লেখ্য, নাগর্নো-কারাবাখকে নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে দুটি যুদ্ধ হয়েছে। যদিও এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু ১৯৯১ সালে আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীর সহায়তায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনিয়ানরা কারাবাখ অঞ্চল দখল করে নেয়। তারা নাগর্নো-কারাবাখ প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২০২০ সালে আজারবাইজান কারাবাখের কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করতে পারে। ৪৪ দিনের ওই যুদ্ধে আর্মেনিয়া পরাজিত হয়। এরপর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়।

সূত্র: এপি

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.