ইসরায়েলি পতাকা ওড়াতে অস্বীকার করেছে ওয়েলস ও স্কটল্যান্ড

ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর যুক্তরাজ্য সরকার দেশটির প্রতি সংহতি প্রকাশ করার জন্য ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতে ইসরায়েলি পতাকা ওড়ানোর অনুরোধ করেছিল। কিন্তু ওয়েলস তাদের পার্লামেন্টের বাইরে ইসরায়েলি পতাকা ওড়াতে অস্বীকার করেছে। এর আগে স্কটল্যান্ড এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল। উভয় দেশই ইসরায়েলের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শনকে প্রত্যাখ্যান করে একই অবস্থান নিয়েছে।

ওয়েলস এবং স্কটল্যান্ডের পতাকা

ওয়েলস পার্লামেন্টের প্রিজাইডিং অফিসার এলিন জোনস বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিরা যখন কষ্ট পাচ্ছে, তখন আমাদের ইসরায়েলের পতাকা ওড়ানো উচিত নয়।'  

অবশ্য জোনস ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হামাস ইসরায়েলের জনগণের ওপর যে বর্বরতা চালিয়েছে তা ঘৃণ্য একটি কাজ ছিল। তবে এক্ষেত্রে শান্তিই একমাত্র আসল সমাধান।'  

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলা করার পর ওয়েলসের পার্লামেন্টের বাইরে ইউক্রেনীয় পতাকা ওড়ানো হয়েছিল। এছাড়া রাতের বেলা পতাকার রঙে ভবনটি আলোকিত করা হয়েছিল।

গত সপ্তাহে স্কটল্যান্ডও জানিয়েছিল, তারা ইসরায়েলি পতাকা ওড়ানোর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করছে। স্কটিশ পার্লামেন্টের একজন মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘স্কটিশ পার্লামেন্টারি কর্পোরেট বডি অনুরোধটি বিবেচনা করেছে এবং অনুমোদন দেওয়া হয়নি।'  

যুক্তরাজ্য পরিচালনাকারী কনজারভেটিভ পার্টির সরকার দেশটির সরকারী ভবনগুলোতে ১৩ অক্টোবর, শুক্রবার পর্যন্ত ইসরায়েলি পতাকা ওড়াতে বলেছিল।   

এদিকে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা দক্ষিণ ইয়র্কশায়ারের দুটি টাউন হলের ওপরে উড়ন্ত ইসরায়েলি পতাকা সরিয়ে ফেলেছে। ১০ অক্টোবর, মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ভিডিও ফুটেজে, শেফিল্ড টাউন হলের ছাদে এক ব্যক্তিকে ইসরায়েলের পতাকা সরিয়ে ফিলিস্তিনি পতাকা প্রতিস্থাপন করতে দেখা গেছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্য বা ইউনাইটেড কিংডম ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে গঠিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। 

সূত্র: দ্য নিউ আরব