নওয়াজ শরিফ ও ইমরান খানের জন্য সময় ফুরিয়ে আসছে

পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আদালতের রায় পরিবর্তনের সময় ফুরিয়ে আসছে সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও ইমরান খানের। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে নির্বাচনের জন্য আদালতের সম্মতি পেতে তাদের হাতে আর একমাস সময় আছে।

ইমরান খান এবং নওয়াজ শরিফ

দি নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) আগামী মাসের প্রথম দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন আয়োজেনের জন্য। আর নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম ৫৪ দিন প্রয়াজন। তার মানে আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ইসিপিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও ইমরানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হল উভয়েরই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা সরকারি কোনো পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। বিভিন্ন মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাকিস্তানের নিয়ম অনুযায়ী তারা অযোগ্য হয়েছেন।

ইমরান খান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তোষাখানা মামলায়। যদিও ইসলামাবাদ হাইকোর্ট এই মামলায় তার সাজা স্থগিত করেছে, কিন্তু আদালতের রায়টি এখনও পুরোপুরি বাতিল করা হয়নি। ফলে তিনি দোষী সাব্যস্তই রয়েছেন।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্য হতে হলে তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে খালাস পেতে হবে। এটা সম্ভব হতে পারে যদি হাইকোর্ট শিগগিরই ওই রায়ের করা আপিলের শুনানির জন্য তারিখ ঠিক করে। হাইকোর্টের মামলার ক্রম অনুসারে এসব ফৌজদারি মামলার শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়। দ্বিতীয়ত, আপিল শুনানির জন্য কিছুটা সময়ও লাগতে পারে।

অপরদিকে নওয়াজ শরিফের ক্ষেত্রে পানামা পেপারস মামলায় আজীবনের জন্য তার অযোগ্যতার বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। আর অ্যাভেনফিল্ড ও আল-আজিজিয়া মামলায় হাই কোর্ট থেকে তাকে খালাস পেতে হবে। হাইকোর্ট অ্যাভেনফিল্ড ও আল-আজিজিয়া মামলায় নওয়াজ শরিফের আপিলের শুনানির দিন ধার্য হয়নি এখনও।

আশা করা হচ্ছে এই আপিলগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। তবে পানামা পেপারস মামলায় নওয়াজ শরিফকে আজীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণার বিষয়টি তার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য বড় হুমকি।