ডাচ নির্বাচনে ইসলামবিদ্বেষী গির্ট ওয়াইল্ডার্স জয়ী

নেদারল্যান্ডসের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন কট্টর ইসলামবিদ্বেষী বলে পরিচিত নেতা গির্ট ওয়াইল্ডার্স। দেশটির সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পর বৃহস্পতিবার গণনায় তার দল পিভিভি সর্বাধিক আসনে জয়লাভ করেছে। তবে সরকার গঠনের জন্য তাকে জোট করতে হবে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

ডাচ নির্বাচনে জয়ী ইসলামবিদ্বেষী নেতা গির্ট ওয়াইল্ডার্সের দল পিভিভি

ডাচ পার্লামেন্টে গত ২৫ বছর ধরে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার পর এই প্রথম নাটকীয় জয় পেল গির্ট ওয়াইল্ডার্সের পার্টি ফর ফ্রিডম (পিভিভি)।
ডাচ পার্লামেন্টের ভোটগ্রহণ হয় বুধবার। পরদিন বৃহস্পতিবার ৯৮ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্নের পর দেখা যায়, ১৫০ আসনের মধ্যে পিভিভি পেয়েছে সর্বোচ্চ ৩৭ আসন।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বামপন্থী লেবার ও গ্রিন পার্টির জোট পিভিডিএ পেয়েছেন ২৫ আসন। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের মধ্য-ডানপন্থী দল পিপলস পার্টি ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (ভিভিডি) জিতেছে ২৪ আসনে। এছাড়া এনএসসি ২০ ও ডিসিক্সটিসিক্স পার্টি জিতেছে ১০ আসনে।

ভোটে বিজয়ের পরই কট্টর ডানপন্থী অভিবাসী ও ইসলাম বিদ্বেষী বলে পরিচিত গির্ট ওয়াইল্ডার্স বলেন, পিভিভিকে আর উপেক্ষা করা যাবে না। আমরা দেশ শাসন করব।

ওয়াইল্ডার্সের বিজয় ইউরোপজুড়ে একটি ধাক্কা, কারণ নেদারল্যান্ডস ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং গির্ট ইইউ জোট বিশ্বাসী নয়।

গির্ট ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের ব্রেক্সিটের মতো নেক্সিটের পক্ষে। তিনি নির্বাচনী প্রচারে এ নিয়ে কথা বলেছেন। ইইউ ত্যাগ করার জন্য একটি গণভোটও আয়োজন করার পক্ষে তিনি।

গির্ট অভিবাসী ও ইসলাম বিদ্বেষী। তিনি নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সীমান্তে দেয়াল দেওয়ার কথা বলেছেন এবং দেশটি থেকে মসজিদ ও ইসলামধর্মভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন। শুধু তাই নয়, কুরআন নিষিদ্ধ করার পক্ষেও তিনি।

গির্টের এমন নীতি ও ধ্যান-ধারনার কারণে অন্য দলগুলো নির্বাচনের আগে পিভিভি নেতৃত্বাধীন জোটে যেতে অস্বীকার করেছে।

সাবেক ইইউ কমিশনার ফ্রান্স টিমারম্যানসের বামপন্থী জোট ২৫টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ডাচ গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি সমর্থকদের বলেছেন, ওয়াইল্ডার্স নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে তার কিছুই করার থাকবে না।

তবে গির্টকে এখন ‘সবার জন্য প্রধানমন্ত্রী’ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারের শরীক হতে অন্যান্য দলকে রাজি করাতে হবে। তার লক্ষ্য ১৫০ আসনের সংসদে ৭৬টি আসন।