আজারবাইজানে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা

ককেশীয় রাষ্ট্র আজারবাইজানে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। ২০২৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক মেয়াদে আগামী ২০২৫ সালে এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। খবর বিবিসির।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ

প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে আজ বৃহস্পতিবার দেশে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইলহাম। ৬১ বছরের এই নেতা ২০১৮ সালে ৭ বছরের জন্য দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে ৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি তার সরকারের। যদিও ভোট বর্জন করেছিল প্রধান বিরোধী দল।

প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীকে হটিয়ে কারাবাখ অঞ্চলে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ায় তার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন নির্বাচনেও বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন তিনি।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কারাবাখ-নাগোর্নো যুদ্ধে বিজয় এবং কারাবাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি জাতিগত আর্মেনীয় দখলদারদের হটাতে সক্ষম হন আলিয়েভ।

সম্প্রতি আজারবাইজানি পোলস্টার জরিপে দেখা গেছে, আলিয়েভ যেভাবে নাগোর্নো-কারাবাখ যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করেছেন, তার সঙ্গে সহমত ছিলেন দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ শতাংশ।

রাজধানী বাকুর স্বাধীন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফরহাদ মাম্মাদভ বলেন, আলিয়েভের জনপ্রিয়তার রেটিং সবসময়ই বেশি ছিল এবং গত সেপ্টেম্বরে কারাবাখে সামরিক বিজয়ের পর তারা আকাশচুম্বী হয়। নিজের জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন ইলহাম আলিয়েভ।

ইলহাম আলিয়েভ ২০০৩ সাল থেকে আজারবাইজানের ক্ষমতায় আছেন। এর আগে ক্ষমতায় ছিলেন তার বাবা হায়দার আলিয়েভ।

আজীবন ক্ষমতায় থাকতে ২০০৯ সালে সংবিধান সংশোধন করে ইলহাম প্রেসিডেন্টদের জন্য দুই মেয়াদের সীমা অপসারণ করেন। এরপর ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ পাঁচ থেকে সাত বছর করে তার সরকার।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে আসা আজারবাইজানকে ইউরোপে একটি সমৃদ্ধ-শক্তিশালী প্রজাতন্ত্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আলিয়েভ পরিবারকে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব দেন তার ভক্ত-সমর্থকরা।

আলিয়েভ সরকারের বিরুদ্ধে যদিও বিরোধী দলকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া, গণমাধ্যমকে দমিয়ে রাখা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিলাসবহুল জীবনযাপনের অভিযোগ রয়েছে।