ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৮৬ গুণ

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন- ১৫ বছরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদই বেড়েছে বহুগুণ। দেড় দশকের ব্যবধানে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে অন্তত ৮৬ গুণ।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদই বেড়েছে

জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসন থেকে ২০০৮ সালে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মো. ফরিদুল হক খান। এরপর ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও এমপি হন তিনি। বর্তমানে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরের এই নেতা।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফরিদুল হক খানের জমা দেওয়া হলফনামার সঙ্গে তার বিগত তিনটি নির্বাচনের হলফনামার তুলনা করে তার আয় ও সম্পদ বহুগুণ বেড়ে যাওয়ার চিত্রই দেখা গেছে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, ফরিদুল হক খানের অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৪ টাকার। এবার ২০২৩ সালে এসে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তার সেই সম্পদ বেড়ে হয়েছে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৫১ হাজার টাকার। অর্থাৎ ১৫ বছরে ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৮৬ গুণ।

ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর গত ১৫ বছরে আয়ও বেড়েছে প্রায় ৩২ গুণ। ২০০৮ সালের হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছিলেন ২ লাখ ৫ হাজার ৪২৭ টাকা। এবারের হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন, ৬৫ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৮ টাকা। ব্যবসা, ভবন ভাড়া, ব্যাংক আমানত, কৃষি খাত ও মৎস্য খাত এবং প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সম্মানী-ভাতা থেকেই এই আয় হয় তার।

২০০৮ সালের হলফনামায় ফরিদুল হক খান জানিয়েছিলেন, তার নিজের কোনো গাড়ি নেই। এবার জানিয়েছেন, ৬১ লাখ ২৭ হাজার টাকার একটি জিপ গাড়ি আছে তার।

২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় ফরিদুল হক খানের হাতে নগদ ছিল ৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। তবে এবার দেওয়া হলফনামায় দেখিয়েছেন, তার হাতে নগদ রয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ ১৭ হাজার ৯৩৬ টাকা।

এছাড়া নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ফরিদুল হক খানের স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ১৮ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকার। ১৫ বছরে তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হয়েছে ২ কোটি ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ টাকার।