আজ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা দিতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার দলটির দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা আজ

দলীয় সূত্রমতে, এবারের ইশতেহারের থিম হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এবং স্লোগান হবে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে কর্মসংস্থান’। এবারের ইশতেহার প্রণয়নে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, স্মার্ট অর্থনীতি গড়তে ক্যাশলেস সোসাইটি, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, গবেষণা ও উদ্ভাবননির্ভর বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। ইশতেহার বিষয়ক প্রকাশনার সর্বশেষ পাতায় লেখা থাকবে, ‘সাথে আছি থাকব কাল, শেখ হাসিনা ধরবে হাল’।

সূত্র অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও নির্বাচনী ইশতেহার উপস্থাপন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।

আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়

ইশতেহার প্রণয়ন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আগের নির্বাচনের ইশতেহার অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে বিশেষ পদক্ষেপ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং আর্থিক খাতের সুশাসনের ওপর জোর দিয়ে এবারের ইশতেহার প্রস্তুত করা হয়েছে।

ইশতেহার উপকমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, আওয়ামী লীগের ইশতেহার শুধু দলীয় ইশতেহার নয়, এটি প্রকৃত অর্থে পুরো জাতির ইশতেহার। কারণ দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে কী প্রত্যাশা করছে, সেটি আওয়ামী লীগের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ দিকে লক্ষ্য রেখেই এবারের ইশতেহার প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এবারের ইশতেহারে থাকবে বৈষম্য দূর করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার। এছাড়া বেকারত্ব দূর করে কীভাবে কর্মসংস্থান হবে, দারিদ্র্য আরও কমবে, সম্পদশালী ও সম্পদহীনদের মধ্যকার বৈষম্য হ্রাস পাবে, সেগুলো থাকছে ইশতেহারে। এছাড়া সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা, আইনমৃঙ্খলা বাহিনীর দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি করার মতো বিষয়গুলোও তুলে ধরা হবে এটিতে।

ইশতেহার কমিটির সদস্য সচিব এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ জানান, এবারের ইশতেহারের মূল থিম হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ। এবারের ইশতেহারে আরও গুরুত্ব পেয়েছে কৃষি, সেবা, অর্থনৈতিক ও শিল্প উৎপাদন খাতের উন্নয়ন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ আরও অনেক কিছু। এককথায় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের বিষয়গুলো ইশতেহারে স্থান পেয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘দিনবদলের সনদ’। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘোষিত ইশতেহারের শিরোনাম করা হয়েছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। ২০১৮ সালে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শিরোনামে ইশতেহারে নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরেছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলটি।