ইমরানের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিলো নির্বাচন কমিশন

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

ইমরান খান

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কারাগারে থাকলেও নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতা ইমরান খান। তিনি লাহোরের এনএ-১২২ ও মিয়ানওয়ালির এনএ-৮৯ আসনে নির্বাচনে আগ্রহী ছিলেন। তবে বিভিন্ন অভিযোগে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে এনএ-১২২ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইকবাল বলেন, ইমরানের মনোনয়নপত্র নিয়ে তিনটি আপত্তি তুলেছিলেন পিএমএল-এনের নেতা মিয়াঁ নাসের। আপত্তিগুলো হলো-

• যিনি ইমরানের পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন, তিনি নিজে এই আসনের ভোটার নন।
• দ্বিতীয়ত অসততার অভিযোগে সাজা খাটছেন ইমরান এবং এই সাজা হওয়ায় তিনি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য।
• তৃতীয়ত যে আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খান বন্দী আছেন, সে কারাগারের প্রধান ইমরানের মনোনয়নপত্র সত্যায়ন করেননি।
• এসব আপত্তির ভিত্তিতে ইমরানের মনোনয়নপত্রের ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে ইমরানের মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) প্রধান নওয়াজ শরিফের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি লাহোর এনএ-১৩০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

ইমরান খানসহ পিটিআইয়ের অনেক নেতার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। দলটি অভিযোগ করে বলেছে, ইমরান খানসহ পিটিআইয়ের ৯০ শতাংশ গুরুত্বপূর্ণ নেতার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে তারা এর বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন।

গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই নানা ধরনের প্রতিকূলতার মুখে রয়েছেন ইমরান ও তার দল পিটিআই। দলের প্রচুর নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অনেকে বিভিন্ন প্ররোচণায় দল ছেড়েছেন। নির্বাচনের প্রাক্কালেও দলটির নেতাকর্মীরা নানা ধরনের বাধার মুখে পড়ছেন।