ভোটের মাঠে সেনাবাহিনী, থাকবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বুধবার (৩ জানুয়ারি) মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে দায়িত্ব পালন করবে তারা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আটদিনের জন্য মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী

সশস্ত্র বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে সশস্ত্র বাহিনী সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

সশস্ত্র বাহিনী ভোটগ্রহণের পূর্বে, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পর শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দেবে।

আইএসপিআর আরও জানায়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে।

সেনাবাহিনী ৬২টি জেলায় নিয়োজিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুরোধক্রমে ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীগুলো এলাকাভিত্তিক মোতায়েন সম্পন্ন করছে।

আইএসপিআর জানায়, সমতলে সীমান্তবর্তী ৪৫টি উপজেলায় এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে বিজিবি। এছাড়া সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলায় সেনাবাহিনী বিজিবির সঙ্গে এবং উপকূলীয় চারটি উপজেলায় কোস্টগার্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।

এছাড়া উপকূলীয় দুটি জেলা- ভোলা ও বরগুনাসহ মোট ১৯টি উপজেলায় নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।

দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে ভোটকেন্দ্রগুলোয় বিমানবাহিনী হেলিকপ্টারযোগে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। জরুরি প্রয়োজনে নির্বাচনী সহায়তা দিতে বিমানবাহিনীর প্রয়োজনীয়সংখ্যক হেলিকপ্টার প্রস্তুত হয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় সেল স্থাপন করা হয়েছে। এটি ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।