বিশ্বজুড়ে ফের করোনার প্রকোপ, এক মাসে মৃত্যু ১০ হাজার

বিশ্বজুড়ে ফের তাণ্ডব শুরু করেছে মহামারী ভাইরাস করোনা । গত এক মাসে বিশ্বে করোনা ভাইরাসে অর্থাৎ কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আদহানম গেব্রিয়েসুস। সম্প্রতি করোনায় প্রাণহানি বেশি ঘটেছে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড ও ভারতে। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট ও ওয়ার্ল্ডোমিটারসের।

বিশ্বজুড়ে ফের বেড়েছে করোনার সংক্রমণ

জেনেভায় সদরদপ্তরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গেব্রিয়েসুস বলেন,নতুন বছরে এসে বিশ্বে গড়ে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি ৪২ শতাংশ বেড়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার অন্তত ৫০ দেশে আক্রান্তের হার বাড়তি। করোনাভাইরাসের কারণে প্রচণ্ড ঠান্ডায় নিউমোনিয়াসহ শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বহুলাংশে বেড়েছে বিশ্বজুড়েই।

গেব্রিয়েসুস জানান, বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে এক মাসে বিশ্বে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজার মানুষ। করোনার মহামারি সময়ের তুলনায় এই মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে অনেক কম। কিন্তু কভিড-১৯ প্রতিরোধের এই সময়ে এসে ১০ হাজার মৃত্যু কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই রোগটি সংক্রমণ, মৃত্যু ও আক্রান্তের হালনাগাদ পরিসংখ্যান তুলে ধরা ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, সর্বশেষ বৃহস্পতিবার একদিনে বিশ্বজুড়ে অন্তত ১০০ জন মারা গেছেন করোনায়। আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৭ হাজারের বেশি। আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩৪ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ২৭৮ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ কোটি ১৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৪৬৬ জন। তাদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৯ লাখ ৬৬হাজার ৮৬৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ৬৭ কোটি ২৫ লাখ ৩৯ হাজার ৩৮২ জন।

ডব্লিউএইচও প্রধান সতর্ক করে বলেন, শীতের এই সময়ে বিভিন্ন দেশের মানুষ ছুটি কাটাতে বিশ্বের নানাপ্রান্তে ভিড় জমাচ্ছেন। এ কারণেই ওমিক্রনসহ করোনার প্রচলিত ধরনগুলো সংক্রমিত হচ্ছে দ্রুত। আর এতেই ডিসেম্বর মাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে অনেক।

ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, বিশ্বে বর্তমানে ছড়িয়ে পড়া সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য করোনা ভ্যারিয়েন্ট হচ্ছে ওমিক্রনের জেএন-১। যদিও এই ধরনের বিপরীতে টিকা কার্যকর রয়েছে বিশ্বজুড়েই। তবে দেশগুলোকে অবশ্যই ফের মহামারী ঠেকাতে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি চিকিৎসা ও টিকায় নজর দিতে হবে।