শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘অবহেলিত’ টুর্নামেন্ট

শুধু বিশ্বকাপ কেন, ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ কিংবা কোপা আমেরিকার কথাই ধরা যাক। এসব টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার মাসখানের আগে থেকেই ভক্তদের মধ্যে চরম উন্মাদনা শুরু হয়। নিজেদের পছন্দের দল নিয়ে বড় বড় বুলি আওড়ান ভক্তরা। কে শিরোপা জিতবে তা নিয়ে চলে লম্বা বিতর্ক।

সবশেষ আসরের শিরোপা জিতেছে সেনেগাল

সেদিক থেকে আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সের অবস্থান ভিন্ন মেরুতে। অন্যান্য মহাদেশীয় টুর্নামেন্টেগুলোর তুলনায় আফ্রিকা কাপ অব নেশন্স বরাবরই বিশ্ব ফুটবলের সমর্থকদের আলোচনার বাইরে থাকে। আড়ালে থাকে আফ্রিকা মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চের মাঠের লড়াই। এই টুর্নামেন্ট ঘিরে থাকে না বিশ্ব মিডিয়ার তেমন কোনো নজর।

অথচ পরিসংখ্যান বলছে, কোনো অংশেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা কম হয় না আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সে। ২০১০ সালের পর মাঠে গড়িয়েছে এই টুর্নামেন্টের সাতটি আসর। যেখানে শিরোপা জিতেছে আলাদা সাতটি দল। এই সাত আসরের মধ্যে কেবল সর্বোচ্চ দুইবার করে ফাইনাল খেলতে পেরেছে মিশর ও ঘানা।

বাকি আসরগুলোতে ফাইনালে খেলা দলগুলো ভিন্ন ছিল। এত প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকার পরও বিশ্ব ফুটবলে তেমন সাড়া না পাওয়ায় সবচেয়ে বড় ‘অবহেলিত’ টুর্নামেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয় আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সকে।

আজ থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অবহেলিত ফুটবল টুর্নামেন্টের ৩৪তম আসর। এবারের আয়োজক আইভোরি কোস্ট। এবারের আসরটি মাঠে গড়ানোর কথা ছিল ২০২৩ সালের জুন-জুলাইয়ে। আয়োজক দেশের প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।

আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সের এবারের আসরে অংশগ্রহণ করবে ২৪টি দল। ছয় গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দলগুলো। উদ্বোধনী ম্যাচে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় আবিদজানের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলবে গিনি। আইভোরি কোস্টের পাঁচটি শহরের ছয়টি ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আফ্রিকান কাপ অব নেশন্স আয়োজন করছে আইভোরি কোস্ট। এর আগে ১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতার আয়োজক ছিল দেশটি।

এবারের আসরের ফেভারিটের তকমা থাকছে মিশর ও সেনেগালের ওপর। মরক্কোকে নিয়েও আগ্রহের কমতি নেই। এছাড়া চমক দেখাতে পারে নাইজেরিয়া, ঘানা, আলজেরিয়ার মতো দলগুলো।

ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে এবারের আফ্রিকান কাপ অব নেশন্সে নজর থাকবে মোহাম্মদ সালাহ, সাদিও মানে, রিয়াদ মাহরেজদের ওপর। ভিক্টর অসিমহেন, ইউসেফ এন নেসরি, এডোয়ার্ডো মেন্ডিদের প্রতিও খেয়াল থাকবে ভক্তদের।