হজযাত্রী বাকি এখনও ৯০ হাজার, ফের বাড়ছে নিবন্ধনের সময়

পবিত্র হজে গমনেচ্ছু মুসল্লিদের সাড়া মিলছে না এবার। এখন পর্যন্ত কাঙ্খিত কোটা পূরণে লাগবে আরও ৯০ হাজার হজযাত্রী। তাই তৃতীয় দফায় বাড়ানো হচ্ছে হজ নিবন্ধনের সময়। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে রবিবার (১৪ জানুয়ারি) এসব তথ্য মিলেছে।

পবিত্র কাবা শরীফ

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।

২০২৪ সালের এই হজযাত্রায় বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব যেতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ মুসল্লি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারবেন ১ লাখ ১৭ হাজার জন।

এবার হজে যেতে ইচ্ছুকদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে সদ্য বিদায়ী বছরের ১৫ নভেম্বর এবং সময় বেঁধে দেওয়া হয় ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

নিবন্ধনের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের তেমন সাড়া না পাওয়ায় ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ায় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত । তাতেও কাঙ্খিত সাড়া না মেলায় দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়ানো হয় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বশেষ রবিবার (১৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন ৩৬ হাজার ৪৩৪ জন। এখনও কোটা পূরণে বাকি রয়েছে ৯০ হাজার ৭৬৪ জনের।

তাই বাধ্য হয়ে তৃতীয় দফায় নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

এ ব্যাপারে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হজ অনুবিভাগ) মো. মঞ্জুরুল হক জানান, হজ নিবন্ধনের সময় রয়েছে আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। যেহেতু এখনও কাঙ্ক্ষিত নিবন্ধন হয়নি, তাই ফের সময় বাড়ানো হবে। তবে কতদিন বাড়বে তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, নিবন্ধনের সময় আরও এক মাস বাড়ানো হতে পারে। প্রথমে ১৩ দিন বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হতে পারে। পরে পরিস্থিতি দেখে আরেক দফা বাড়ানো হতে পারে।

হজ নিবন্ধনে সাড়া কম হওয়ার কারণ হিসেবে হজ অনুবিভাগের একজন কর্মকর্তা মনে করেন, দেশে নির্বাচন থাকায় এবং নির্বাচনের আগে প্রায় মাসখানেক লাগাতার হরতাল-অবরোধ থাকায় নিবন্ধনে সাড়া মিলেছে কম। নির্বাচন যেহেতু শেষ হয়েছে এবং জ্বালাও-পোড়াও নেই, এখন বাড়তে পারে নিবন্ধনের সংখ্যা।

হজ এজেন্সির মালিকদের ধারণা, দেশে এতদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বেশিরভাগ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না। এখন যেহেতু নির্বাচন হয়ে গেছে, পরিস্থিতিও অনেকটা স্বাভাবিক। তাই আশা করা হচ্ছে, হজে যেতে ইচ্ছুকরা দ্রুতই নিবন্ধন করে নেবেন।