ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে জার্মানিতে ব্রেক্সিট মডেলের ভোটের প্রতিশ্রুতি

জার্মানির চরম ডানপন্থী রাজনৈতিক দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) নেতা অ্যালিস ওয়েইডেল বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যে ব্রেক্সিট গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জার্মানিরও সেই পথ অনুসরণ করা উচিত। তিনি জানিয়েছেন, তার দল ক্ষমতায় এলে ইইউ সদস্যপদ নিয়ে ব্রেক্সিট মডেলের ভোটের জন্য প্রচারণা চালাবে।

অ্যালিস ওয়েইডেল

২২ জানুয়ারি, সোমবার ব্রিটিশ পত্রিকা ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এই মন্তব্য করেছেন। ওয়েইডেল জানিয়েছেন, এটি জার্মানির জন্য একটি মডেল, যে কেউ এমন একটি সার্বভৌম সিদ্ধান্ত নিতে পারে। 

ওয়েইডেল জানিয়েছেন, তার দল ইউরোপীয় কমিশনের ক্ষমতা রোধ করতে এবং গণতান্ত্রিক ঘাটতি মোকাবেলা করতে ইইউ সংস্থাগুলোর সংস্কার করতে চেয়েছিল। 

এএফডি নেতা উল্লেখ করেছেন, তার দল ক্ষমতায় এলে ইইউ সদস্যপদ নিয়ে ব্রেক্সিট মডেলে ভোটের জন্য প্রচারণা চালাবে। যুক্তরাজ্য যেমন এই মডেল অনুসরণ করে ইইউ ব্লক থেকে প্রস্থান করেছিল, জার্মানিও সেই একই মডেল অনসরণ করে সংস্থাটি থেকে চলে যেতে পারে।  

তিনি জার্মানির ক্ষেত্রে এটিকে ‘ডেক্সিট’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি জার্মানির জন্য একটি মডেল, যে কেউ এমন একটি সার্বভৌম সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটি জার্মানির আত্মনিয়ন্ত্রণকে বাড়িয়ে তুলবে।

তবে জার্মানির মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনসাধারণ ইইউতে থাকাকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করে। ফলে তাদের সঙ্গে ওয়েইডেলের ব্যাপক মতপার্থক্য দেখা যায়।

২০১৩ সালে রাজনৈতিক দল এএফডি প্রতিষ্ঠিত হয়। ইইউর বিরোধিতা করাই দলটির মূলনীতি ছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকারের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে এএফডি। সম্প্রতি এক জনমত জরিপে দেখা গেছে চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট পার্টির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে এএফডি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৩ জুন যুক্তরাজ্যজুড়ে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এটিকে ইইউ গণভোট বা ব্রেক্সিট গণভোট হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এই ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে ইইউর সদস্যপদ ত্যাগ করে যুক্তরাজ্য।

সূত্র: দ্য নিউ আরব