কিম জং উন: খাদ্য সংকট এখন ‘গুরুতর রাজনৈতিক সমস্যা’

দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা উত্তর কোরিয়ায় দারিদ্র্যের হার আগে থেকেই অনেক বেশি। কোভিড মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধের জেরে দেশটির পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরও খারাপ হয়েছে। দেশটির এখন চরম খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে। দেশটির নেতা কিম জং উনও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বলেছেন, এটি এখন গুরুতর রাজনৈতিক সমস্যার রূপ নিয়েছে। খবর আইপিবি।

কিম জং উন

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার পলিটব্যুরোর অষ্টম কেন্দ্রীয় কমিটির ১৯তম বর্ধিত সভায় কিম এ মন্তব্য করেন।

সাধারণ মানুষকে খাবারের মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখাকে ‘গুরুতর রাজনৈতিক সমস্যা’ বলে উল্লেখ করে কিম বলেন, তার দেশ এখন চরম খাদ্য সংকটের মুখোমুখি। বড় ধরনের খাদ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তা করলেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য তার সরকার নতুন নতুন উপায় বের করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন কিম।

শস্যক্ষেত পরিদর্শনে কিম জং উন

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক চাপের কারণে গত কয়েক দশক ধরেই খাদ্যের ঘাটতিজনিত সমস্যার মুখোমুখি উত্তর কোরিয়া। নব্বইয়ের দশকে দেশটিতে মারাত্মক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। তখন সেই সমস্যার জের এখনও রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে সে দেশের খাদ্যসমস্যা আরও বেড়েছে।

চীন-রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের কারণে গত কয়েক বছরে উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে খাদ্য পরিস্থিতি এখনও খারাপ, এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার এক মন্ত্রী।

এ অবস্থায় সুপ্রিম পিপল্স অ্যাসেম্বলির বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার নেতা সারাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের মাধ্যমে শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক দূরত্ব কমিয়ে আনার ডাক দিয়েছেন।

কিম বলেন, সামগ্রিকভাবে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অবস্থার পরিস্থিতি ভয়াবহ। ভৌগোলিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং জীবনযাত্রার ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলগুলির মধ্যে গুরুতর ভারসাম্যহীনতা এবং বিশাল ব্যবধান রয়েছে। পরিস্থিতি বিচারে আমাদের বসে থাকা উচিত নয়। পরিস্থিতি কবে নাগাদ অনুকূল হবে, এই ভেবে অপেক্ষা করাও উচিত নয়। বরং জনগণের দিকে লক্ষ্য করে আমাদেরকে দায়িত্বের প্রতি অবিচল থাকতে হবে। কর্মসংস্থানের নতুন নতুন উপায় বের করতে হবে।