সুপার লিগ নিয়ে নতুন নাটক

ইউরোপিয়ান সুপার লিগের অবস্থা অনেকটা এমন, শেষ হয়ে যেন শেষ হচ্ছে না। কিছুদিন পরপর মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে প্রবল আলোচিত-সমালোচিত প্রকল্প। গত ডিসেম্বরে ইউরোপের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর এই টুর্নামেন্টের প্রশাসকদের বুকের ছাতা অনেকটাই প্রশস্ত হয়ে গেছে। নতুন উদ্যোমে প্রকল্প শুরুর কথা ভাবছেন তারা।

আগামী দুই মৌসুমের মধ্যে সুপার লিগ মাঠে গড়ানোর স্বপ্ন প্রকল্পের নীতি নির্ধারকদের

এবার অনেকটা প্রকাশ্যেই প্রচার-প্রসারের কাজ চালাচ্ছেন সুপার লিগের নীতি নির্ধারকরা। তাদের মধ্যে অন্যতম রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। এই প্রকল্পে তার অন্যতম অংশীদার বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তা। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, ইউরোপের নামীদামি কিছু ক্লাব অদূর ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হবে। শিগগিরই মাঠে গড়াবে এই টুর্নামেন্ট।

নতুন করে আলোচনায় আসা ক্লাবগুলোর মধ্যে আছে ফ্রান্সের অলিম্পিক মার্শেই, ইতালির এএস রোমা ও ইন্টার মিলান এবং নেদারল্যান্ডসের ফেনুর্ড। শুক্রবার রাতে লাপোর্তার বক্তব্যের ঠিক উল্টো বিবৃতি দিয়েছে এসব ক্লাব। তাদের দাবি, বার্সা প্রেসিডেন্টের কথা সঠিক নয়। এখনও সুপার লিগ প্রকল্প ইস্যুতে তাদের অবস্থান আগের মতোই। অর্থাৎ আসবে না ক্লাবগুলো।

সুপার লিগ প্রকল্প হচ্ছে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ফুটবল ক্লাব নিয়ে গঠিত একটি ধারণা। যা ১৯৯০ দশক থেকে আলোচনায় এসেছে। ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি আত্মপ্রকাশ করে। শুরুতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ১২টি ক্লাব মিলে এই যাত্রায় শামিল হয়। পরে ফিফা, উয়েফা, মহাদেশীয় ছয়টি সংস্থা ও ক্লাব সমর্থকদের বিরোধিতার মুখে সরে দাঁড়ায় নয়টি ক্লাব। এর মধ্যে আছে ইংল্যান্ডের ‘বিগ সিক্স’।

ইউরোপের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর নতুন করে আশার আলো দেখতে পায় সুপার লিগ প্রকল্প। প্রকল্পের অন্যতম ধারক ও বাহক বার্সা সভাপতি লাপোর্তা জানান, আগামী মৌসুম থেকে এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানো হবে। অথবা ২০২৫-২৬ থেকে যাত্রা শুরু করবে সুপার লিগ। এই টুর্নামেন্টকে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সঙ্গে সাংঘার্ষিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ জন্যই সুপার লিগ মাঠে গড়াতে এত জটিলতা।