স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪ সদস্যকে যারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

আসাদুজ্জামান খান কামাল

বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি সীমান্তে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৪ সদস্যের মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের তথ্য প্রথম পাওয়া গেছে। পরে সংখ্যাটি বেড়ে ৫৮-এ উন্নীত হয় বলে জানা গেছে।

তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছে। বিজিবি অবশ্য সন্ধ্যায় জানায়, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩৯ সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের তথ্য প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিজিপির ১৪ জন সদস্য আত্মরক্ষার জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করে সাহায্য চান। বিজিবি তাদের অস্ত্র এক জায়গায় মজুদ করেছে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে যাতে তারা তাদের সৈন্যদের নিয়ে যেতে পারে।

সংবাদকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, দেখুন, আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না। আমরা যুদ্ধ চাই না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় আমাদের সেই নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এর মানে এই নয় যে কেউ কিছু বললে আমরা ব্যবস্থা নেব না। আমরা সবসময় প্রস্তুত। আমরা সেখানে (সীমান্তে) বিজিবির শক্তি বৃদ্ধি করেছি। এ ব্যাপারে আমরা পুলিশ ও কোস্টগার্ডকেও নির্দেশ দিয়েছি, যাতে কেউ কোনোভাবে আমাদের সীমান্তে অনুপ্রবেশ করতে না পারে। আমরা সে ব্যাপারে খুবই সতর্ক। মিয়ানমারে কতদিন যুদ্ধ চলবে আমরা জানি না। আমরা কাউকে আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করতে দেবো না। আমরা এ বিষয়ে বিজিবিকে নির্দেশ দিয়েছি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আত্মরক্ষার জন্য এখানে ঢুকেছে। এটা ঘটতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ভারতে প্রবেশ করেছিলাম? একজন নয়, লাখ লাখ মানুষ সেখানে গিয়েছিলেন। তারা এখানে আত্মরক্ষার জন্য প্রবেশ করেছে, যুদ্ধের জন্য নয়।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, সীমান্তে অবস্থানরত বিজিপি সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য দেশে প্রবেশ করলে আমাদের কিছু করার নেই। তাদের ফেরত পাঠাতে হবে। আমরা তাদের (বিজিপি সদস্যদের) আটক করেছি এবং তাদের ফেরত পাঠাব।’

রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সীমান্তে যুদ্ধ চলছে, এখন কেউ এখানে আসবে না। আমরা এই মুহূর্তে অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেবো না।’