হামাস: গাজায় ১০ ইসরায়েলি সেনা ও ৩ জিম্মি নিহত

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, তাদের হামলায় দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহরে ১০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এছাড়া গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আহত তিন জিম্মি মারা গেছে। খবর আনাদোলু।

গাজায় ইসরায়েলি সেনা

হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসসাম ব্রিগেডস এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, গাজা উপত্যকার পূর্ব খান ইউনিসের আবসান আল-কাবিরা এলাকায় তারা বড় ধরনের সাফল্য পেয়েছে। মুখোমুখি সংঘর্ষে তাদের হাতে ইসরায়েলি ১০ সেনাসদস্য নিহত হয়েছে। তবে এই দাবির বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে পৃথক আরেক বিবৃতিতে কাসসাম ব্রিগেড জানায়, ইসরায়েলি হামলায় তাদের হাতে থাকা যেসব জিম্মি আহত হয়েছিল, তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে তারা জানিয়েছিল, তিন দিনের ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই জিম্মি নিহত ও আটজন আহত হয়েছে। এখন ওই আটজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুর খবর জানালো তারা।

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা

বিবৃতিতে তারা জানায়, ইসরায়েলি হামলায় ওইসব জিম্মি গুরুতরভাবে আহত হয়েছিল। চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় তাদের তিনজন মারা গেছে। অন্য আহত জিম্মিদের পরিস্থিতি আরেকটু পরিষ্কার হওয়ার পর তারা নিহত জিম্মিদের ছবি ও নাম প্রকাশ করবে। এ ব্যাপারে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মতামত পাওয়া যায়নি।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে হামাস দুই শতাধিক ইসরায়েলি নাগরিককে জিম্মি হিসেবে আটক করে নিয়ে আসে। গত নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে হামাস শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দেয়। এছাড়া ইসরায়েলি হামলাতেও বেশ কয়েকজন জিম্মি নিহত হয়েছে। তবে এখনও হামাসের হাতে ১৩০ জনের বেশি জিম্মি রয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জিম্মিদের উদ্ধারের দাবিতে ইসরায়েলে প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। এমনকি গত মাসে তারা দেশটির পার্লামেন্টেও ঢুকে পড়ে স্বজনদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়। চার মাস ধরে যুদ্ধ চলার পরও আটক জিম্মিদের মুক্ত করতে না পারায় তারা নেতানিয়াহুর সরকারের পদত্যাগেরও দাবি জানায়।