রমজানে ঢাকায় সুলভ মূল্যে মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ

আসন্ন রমজান মাসে ঢাকাবাসীর জন্য সুলভ মূল্যে মাছ, গরু ও খাসির মাংস, মুরগি, দুধ ও ডিম সরবরাহ করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রবিবার (১০ মার্চ) খামারবাড়িতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে এ উদ্যোগের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

ছবিতে মাংস, মাছ এবং ডিম-দুধ

এই কর্মসূচির আওতায় তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি (পালিত) ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ৯.১৭ টাকা (বা প্রতি ডজন ১১০ টাকা) দরে বিক্রি হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ঢাকা মহানগরীর আটটি স্থানে রুই মাছ প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, পাবদা ৩৩০ টাকা এবং রান্নার জন্য-প্রস্তুত ফিস ফিলেট ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হবে।

উদ্বোধনকালে মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান সরকার সবসময় মানুষের দুর্ভোগ কমাতে চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যৌক্তিক রাখতে সকল মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।’

‘সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের ফলে ইতোমধ্যে অস্বাভাবিক হারে ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সাধ্যের মধ্যে রাখতে এটি আমাদের পদক্ষেপ। আশা করি, পবিত্র রমজানে বাজারে দাম সহনশীল পর্যায়ে রাখতে এটি ভূমিকা রাখবে।’

কোথায় পাওয়া যাবে

রমজানের প্রথম থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ বাজার ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজধানীর ২৫টি স্থানে এ বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পাশাপাশি পাঁচটি স্থায়ী বাজারেও সুলভ মূল্যে এসব পণ্য পাওয়া যাবে। মোট বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা হবে ৩০।

অস্থায়ী বাজার

• নতুনবাজার (বাড্ডা)
• কড়াইল বস্তি (বনানী)
• খামারবাড়ি (ফার্মগেট)
• আজিমপুর মাতৃসদন
• গাবতলী
• দিয়াবাড়ি (উত্তর)
• জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর)
• ৬০ ফিট রোড (মিরপুর)
• খিলগাঁও (রেলক্রসিংয়ের দক্ষিণে)
• সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গণি রোড)
• সেগুন বাগিচা (ওয়েট মার্কেট)
• আরামবাগ (মতিঝিল)
• রামপুরা
• কলশী (মিরপুর)
• যাত্রাবাড়ি (মানিকনগর গলির মুখে)
• বসিলা (মোহাম্মদপুর)
• হাজারীবাগ (শিকশন)
• লুকাস (নাখালপাড়া)
• আরামবাগ (মতিঝিল)
• কামরাঙ্গীরচর
• মিরপুর-১০
• কল্যাণপুর (ঝিলপাড়)
• তেজগাঁও
• পুরান ঢাকা (বাংলাবাজার)
• কাকরাইল

নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি (বনানী), খামারবাড়ি (ফার্মগেট), আজিমপুর মাতৃসদন, গাবতলী, দিয়াবাড়ি (উত্তর), জাপান গার্ডেন সিটি (মোহাম্মদপুর), ৬০ ফিট রোড (মিরপুর), খিলগাঁও (রেলক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আব্দুল গণি রোড), সেগুন বাগিচা (ওয়েট মার্কেট), আরামবাগ (মতিঝিল), রামপুরা, কলশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ি (মানিকনগর গলির মুখে), বসিলা (মোহাম্মদপুর), হাজারীবাগ (শিকশন), লুকাস (নাখালপাড়া), আরামবাগ (মতিঝিল), কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর-১০, কল্যাণপুর (ঝিলপাড়), তেজগাঁও, পুরান ঢাকা (বাংলাবাজার) ও কাকরাইল।

স্থায়ী বাজার

• মিরপুরের শাহ আলী বাজার
• মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট
• নতুন বাজার (১০০ ফিট)
• কমলাপুর
• কাজী আলাউদ্দিন রোড (আনন্দবাজার)

আটটি মাছ বিক্রয়কেন্দ্র

• ফার্মগেট (বঙ্গবন্ধু চত্বর)
• মিরপুর-১ (ঈদগাহ মাঠ), সেগুনবাগিচা বাজার
• মেরুল বাড্ডা বাজার, মুগদাপাড়া (মদিনাবাগ বাজার)
• যাত্রাবাড়ী (দয়াল ভরসা মার্কেট)
• মতিঝিল (বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে)
• পলাশী মোড়

এছাড়া পিকআপ ভ্যানও ব্যবহার করা হবে প্রাণিসম্পদজাত পণ্য বিক্রির কাজে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভ্যানে ভোর ৯টার মধ্যে পণ্যগুলো বিক্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সকাল ১০টা থেকে বিক্রি শুরু হবে।

এ কর্মসূচি সার্বক্ষণিক তদারকির জন্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি মাঠে কাজ করবে।