ওবায়দুল কাদের: মধ্যবর্তী নির্বাচন কি মামা বাড়ির আবদার!

মধ্যবর্তী নির্বাচন মামা বাড়ির আবদার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন কোন দুঃখে? মামা বাড়ির আবদার নাকি!

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

আজ রবিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ ২৩১টি স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে শনিবার। নির্বাচনগুলোতে ৬০ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন। অনেক জায়গায় বিএনপি নেতারা অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হয়েছেন। এমন অবাধ নির্বাচনের পরও সরকারের বিপক্ষে কথা বলার কোনো যৌক্তিকতা নেই।  

তিনি বলেন, এই নির্বাচনে আবার প্রমাণ হয়েছে, শেখ হাসিনার হাতেই দেশের গণতন্ত্র নিরাপদ। তিনি দেশের বাস্তবতা বোঝেন। অন্যদিকে বিএনপি বাস্তবতা বুঝতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্রমে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।

তাই মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির দাবি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রাখেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন কোন দুঃখে? মামা বাড়ির আবদার?

ওবাদুল কাদের সিঙ্গাপুর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থাতেই সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসময়ে সিঙ্গাপুর সফর করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

বিএনপি মহাসচিব ও মার্কিন রাষ্ট্রদূতের  সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের কোনো বৈঠক হয়েছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, শুনেছি তারা সেখানে গিয়েছেন। কিন্তু কারো সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। একই সময়ে সিঙ্গাপুরে থাকলেও বিএনপি মহাসচিব ও পিটার হাস কারো সঙ্গেই দেখা হয়নি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিবেদনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের নিজস্ব একটা হিসাব-নিকাশ আছে এবং পশ্চিমা বিশ্বের অ্যালায়েন্স, সেই অ্যালায়েন্স রক্ষা করার বিষয়টি আছে, তারা কিছু নীতিমালা অনুসরণ করে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে মন্তব্য করেছে, এখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নও কিছুটা সুর মিলিয়েছে। তবে আমরা গুরুত্ব দেব মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে কী বলেছেন। তারা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আফজাল হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।