ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ফের ইসরায়েলি হামলা

গাজা সিটির কুয়েত গোলচত্বরে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর ফলে ৬ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৮৩ জন আহত হয়েছে।  ১৪ মার্চ, বৃহস্পতিবার এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ছবি - সংগৃহীত

এর আগে ১৩ মার্চ, বুধবার গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) পরিচালিত একটি ত্রাণ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়। এদের মধ্যে ইউএনআরডব্লিউএ এর একজন কর্মচারীও ছিল।  

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষুধার্ত বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ভিড়ের ওপর ইসরায়েলি হামলার ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। ১১ মার্চ, সোমবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটির একই এলাকায়  ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ১১ জনকে হত্যা করেছে।   

রাফা থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ বলেছেন, 'অবরুদ্ধ এই ছিটমহলে ত্রাণের জন্য লাইনে দাঁড়ানো সত্যিই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। কুয়েত গোলচত্বরটি এখন মৃত্যু ফাঁদ হিসাবে পরিচিতি পাচ্ছে।'   

তিনি যোগ করেছেন, 'ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ত্রাণকর্মীরাও বিপদের মধ্যে রয়েছে। তাদের জীবনও মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।'    

কুয়েত গোলচত্বরটি গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় এলাকা এবং গাজা শহরের মধ্যে অবস্থিত। এটি উত্তর গাজাকে দক্ষিণের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এ পর্যন্ত ত্রাণ নিতে এসে ইসরায়েলি হামলায় ৪০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।    

এদিকে ইউএনআরডব্লিউএ এর কর্মচারী সামি আবু সালিম, আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘ত্রাণকর্মীদের ওপর এ ধরনের হামলার ঘটনায় আমি প্রচন্ড হতাশ। ত্রাণ কেন্দ্রে হামলা আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। আমরা কেবল বয়স্ক এবং শিশুদের মধ্যে এসব ত্রাণ বিতরণ করছিলাম।' 

রাফার জাতিসংঘ ত্রাণ কেন্দ্র গাজার খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। ইউএনআরডব্লিউএ জাতিসংঘের সংস্থার উপর বারবার ইসরায়েলি হামলার জন্য একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। 

সূত্র: আল জাজিরা