৩ শর্তে জামিন পেলেন আলভেজ

ধর্ষণের অভিযোগের দায়ে সাড়ে চার বছরের জেলসহ দেড় লাখ ইউরো জরিমানা করা হয়েছিল ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ডিফেন্ডার দ্যানি আলভেজকে। অবশেষে জামিনে মুক্ত হলেন তিনি। গত ৫ ফেব্রুয়ারি স্পেনের বার্সেলোনার আদালত তাকে স্থায়ীভাবে শ্রী ঘরে পাঠানোর রায় দেন।

১৪ মাস পর জামিনে মুক্ত হলেন দ্যানি আলভেজ

আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগটি ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। স্পেনের একটি নৈশ ক্লাবে ২০ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণ করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। পরে গত বছরের জানুয়ারিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুরু হয় তদন্ত। ওই নারীকে চেনেন না বলে দাবি করেছিলেন আলভেজ।

পরবর্তীতে বার্সেলোনার সাবেক ডিফেন্ডার স্বীকার করেন যৌন সম্পর্কের কথা। কিন্তু যা কিছু হয়েছে সেটিতে দুজনের সম্মতি ছিল। শেষ পর্যন্ত তদন্তে আলভেজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাব প্রমাণ হয়। এ সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। আত্মহননের চেষ্টাও নাকি করেছিলেন আলভেজ।

দীর্ঘ ১৪ মাস পর জামিনে মুক্তি মিলল আলভেজের। সেটি জামিন ফি ছাড়াই। তাকে গুণতে হয়েছে এক মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ কোটি টাকা)। একই সঙ্গে তিনটি শর্ত দেওয়া হয়েছে তাকে। প্রথমত, আলভেজের ব্রাজিলিয়ান ও স্প্যানিশ পাসপোর্ট জমা দিতে হয়েছে আদালতে। যাতে করে স্পেন থেকে তিনি পালিয়ে যেতে না পারেন।

দ্বিতীয়ত, প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। তৃতীয়ত, বাদীর কর্মস্থান ও বাসস্তানের এক হাজার মিটারের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না আলভেজ। এর কোনোটির ব্যত্যয় ঘটলে বাতিল হয়ে যেতে পারে আলভেজের জামিন। রায় ঘোষণার পর দুই পক্ষই আপিল করেন। চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগ পর্যন্ত স্থায়ী জামিনে থাকবেন আলভেজ।

আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ফুটবলে সবমিলিয়ে ৪০টিরও বেশি শিরোপা জিতেছেন আলভেজ। ৪০ বছর বয়সী এই তারকার সেরা সময়টা কেটেছে বার্সেলোনায়। ২০২২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে বার্সা ছাড়ার পর পুমাসের সঙ্গে চুক্তি করেন আলভেজ। তার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠায় সেই চুক্তি বাতিল করে মেক্সিকান ক্লাব।

বার্সার হয়ে ৪০০টিরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন আলভেজ। এ সময় ছয়টি লা লিগা ও তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। বার্সা ছাড়াও আলভেজ খেলেছেন সেভিয়া, পিএসজি, জুভেন্টাসের মতো ক্লাবে। এ ছাড়া ২০২২ ফিফা কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিল দলের অংশ ছিলেন এই ডিফেন্ডার।