বাধা উপেক্ষা করে আল-আকসায় এক লাখ ২৫ হাজার ফিলিস্তিনি জুমার নামাজ আদায়

চলমান হামাস-ইসরায়েলের সংঘাতের মধ্যেও রমজানের তৃতীয় শুক্রবারে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে এক লাখ ২৫ হাজার ফিলিস্তিনি জুমার নামাজ আদায় করেছেন। গত বছর এ সংখ্যাটি ছিল দ্বিগুণ। যুদ্ধপরিস্থিতিতে ইসরায়েলি সেনাদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বাধা উপেক্ষা করে অনেক মুসল্লি জুমায় অংশ নিতে পারেননি।

আল-আকসায় জুমা আদায় করেন সোয়া লাখ মুসল্লি

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ গোটা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে অন্যতম পবিত্র স্থান (ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান) হিসেবে বিবেচিত। মসজিদটি ইসলামের প্রথম কেবলা। ঐতিহাসিক এই মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতে প্রতি বছর ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসল্লি আসেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে যাওয়ার ক্ষেত্রে মুসল্লিদেরকে ইসরায়েলি বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জেরুজালেমের রাস্তায় বেশ কয়েকটি প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়ে পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা মসজিদে আসতে বাধা দিয়েছে। তুবাসের পূর্বে তায়াসির চেকপয়েন্ট এবং জেরিকোর দিকে যাওয়ার রাস্তার অনেকগুলো পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেগুলো দিয়ে আসা-যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলোতেও ব্যাপক তল্লাশি চৌকি বসায় ইসরায়েলি বাহিনী। তারা তল্লাশির সময় অপেক্ষাকৃত তরুণ বয়সের ফিলিস্তিনিদের আল-আকসা প্রাঙ্গণের দিতে যেতে বাধা দেয়। কেবল ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীদের আল-আকসায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

জুমায় অংশ নেন ফিলিস্তিনি নারীরাও

শুক্রবার জুমার আগেই ওল্ড জেরুজালেমে কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে তাদের সঙ্গে মুসল্লিদের কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বরং সব রকম সংঘর্ষ এড়িয়ে রমজানের তৃতীয় শুক্রবারে আল-আকসা প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের ঢল নামে।