রোজার মধ্যে রেমিট্যান্সে হতাশা: মার্চে এসেছে ১৮১ কোটি ডলার

ঈদের আগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় দেশে একটু বেশি বেশিই টাকা পাঠান প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাতে রোজার মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু এবার রোজার মাসে সে তুলনায় রেমিট্যান্স হতাশাজনক। চলতি মার্চের প্রথম ২৯ দিনে মাত্র ১৮১ কোটি ৫১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে ব্যাংকিং চ্যানেলে। অথচ গত বছর মার্চে ২০২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।

মার্চে প্রবাসী আয় এসেছে খুবই কম

বাংলাদেশ ব্যাংক আজ রবিবার (৩১ মার্চ) প্রবাসী আয়ের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, চলতি মাসে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ২৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধ‌রে) তা ১৯ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে গেছে, চলতি মার্চে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ১৮১ কোটি ৫১ লাখ ডলার। এই রেমিট্যান্সের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে এসেছে ২২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকে এসেছে ১৫৪ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৭৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং একটি বিশেষায়িত ব্যাংকে এসেছে ৩ কোটি ৩ লাখ ডলার।

চলতি বছরের আগের দুই মাসের তুলনায় মার্চে আসা রেমিট্যান্স খুবই কম। দেশে বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১০ কোটি ডলার এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়া‌রি‌তে এসেছে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার। তার আগের মাস অর্থাৎ,

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

২০২৩ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারি মাসে এসেছে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে এসেছিল ২০২ কোটি ডলার, এপ্রিলে এসেছে ১৬৮ কোটি ডলার, মে মাসে এসেছে ১৬৯ কোটি ডলার, জুন মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, জুলাইয়ে এসেছে ১৯৭ কোটি ডলার, আগস্টে এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে এসেছে ১৩৩ কোটি ডলার, অক্টোবরে এসেছে ১৯৭ কোটি ডলার, নভেম্বরে এসেছে ১৯৩ কোটি ডলার।

২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলার। তার আগে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। যেটি এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তুলনামূলক চিত্রে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রবাসী আয় প্রতিবছর অনেক বেশি এলেও এবারের চিত্র উল্টো। এ জন্য হুন্ডি বা অবৈধ পথে প্রবাসীদের অর্থ পাঠানোকে দায়ী করছেন ব্যাংকিং খাতের সংশ্লিষ্টরা।