সারাদেশে ঝড়-বজ্রপাতে নিহত ১২

টানা কয়েকদিন প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের পর আজ রবিবার প্রকৃতি কিছুটা নমনীয় হয়েছে। সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলা ছিল। এরই মধ্যে পিরোজপুর, ঝালকাঠি, খুলনা, নেত্রকোনা, যশোর, বাগেরহাট ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বজ্রপাতের খবর পাওয়া গেছে। বজ্রপাতে দেশের ৯ জেলায় নারী-শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন।

ভোলার লালমোহনে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপায় ভেঙেছে বসত ঘর

ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে দুই নারী ও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেনÑ হেলেনা বেগম (৪০), মিনারা বেগম (৩৫) ও মাহিয়া আক্তার ঈশানা (১১)। ঈশানা সদর উপজেলার ইছালিয়া গ্রামের রিকশাচালক বাচ্চু হাওলাদের মেয়ে। হেলেনা বেগম ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট এবং মিনারা বেগম কাঠালিয়ার উত্তর তালগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

নেত্রকোণায় খালিয়াজুরীর রাজঘাট হাওরে এক কৃষক বজ্রপাতে মারা গেছেন। নিহত শহীদ মিয়া (৫২) উপজেলার মেন্দীপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। বজ্রপাতের সময় নিজের মরিচ ক্ষেতে কাজ করছিলেন শহীদ মিয়া।

যশোরের ঝিকরগাছায় ধান ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আব্দুল মালেক পাটোয়ারী (৬০) উপজেলার বড়পোদাউলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

পিরোজপুরে ঝড়ে ১০ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে বিভিন্ন এলাকা। পিরোজপুর পৌরসভায় ৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ঝড়ে ঘর ভেঙে পড়ে আহত হন রুবি আক্তার এবং তার মেয়ে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রুবি আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাগেরহাটে বজ্রপাতে এক কৃষক নিহত হয়েছে। ঝড়ের সময় বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার মঘিয়া এলাকায় বজ্রপাতে নিহত হন লিকচান সরদার (৩৫) নামে এক কৃষক।

পটুয়াখালীতে কালবৈশাখী ও বজ্রপাতে দুজন নিহত হয়েছে। বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের তাতেরকাঠী গ্রামে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন নবম শ্রেণীর ছাত্র রাতুল। দাসপাড়া ইউনিয়নের বাহের দাসপাড়া গ্রামে গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন বৃদ্ধা সাফিয়া বেগম।

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া গ্রামের কোমলপুরে মো. ওবায়দুল্লাহ নামে একজন বজ্রপাতে মারা যান। কানাইডাঙ্গা বিলে মাছের ঘেরে ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হন তিনি।

ভোলার লালমোহনে বজ্রপাত ও ঘর চাপায় দুইজন নিহত হয়েছেন। উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের চরলেঙ্গুটিয়া গ্রামের কায়সারের ছেলে মো. বাচ্চু (৩৫) মিয়া বজ্রপাতে এবং ফরাজগঞ্জের হারিছ আহমেদ (৭০) ঘরচাপায় মারা যান।