অ্যাটলেটিকো জয়, আর্জেন্টাইন কোচের গৌরব

ঘরের মাঠ মেট্রোপলিটানো স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে উজ্জীবিত পারফরম্যান্স করল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। প্রথমার্ধে জোড়া গোল করে ম্যাচের লাগাম তুলে নিলো নিজেদের হাতে। বিরতির পর আটসাঁট রক্ষণের সুবাদে লিড আগলে রাখে ডিয়েগো সিমনের দল। অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে স্প্যানিশ জায়ান্টরা পেল দুর্দান্ত জয়। যা তাদের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে আরেকটু এগিয়ে দিলো।

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের উল্লাস। পাশে হতাশ ডর্টমুন্ডের হয়ে ৫০০তম ম্যাচ খেলতে নামা ম্যাট হ্যামেলস। ছবি: ফেসবুক

বুধবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। এই জয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে থাকল স্পেনের ক্লাবটি। আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে শেষ আটের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি খেলবে ডর্টমুন্ড। সেই ম্যাচে জিততেই হবে তাদের। তবে ড্র করলেই চলবে অ্যাটলেটিকোর।

গ্যালারির দর্শকেরা ঠিকঠাক আরাম করেও বসতে পারেননি। এর মধ্যেই রেফারির গোলের বাঁশি। শুরুতেই ডর্টমুন্ডের জালে বল জড়ান রদ্রিগো ডি পল। চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি মৌসুমে এটাই প্রথম গোল আর্জেন্টাইন তারকার। ৩২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দিয়াজ লিনো। গোলের উৎস অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান। দুই গোল হজমের পর ম্যাচ থেকে এক প্রকার ছিটকে যায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।

৮১ মিনিটে ব্যবধান কমায় জার্মান জায়ান্টরা। ডর্টমুন্ডের হয়ে গোলের শোধ দেন সেবাস্টেইন হলার। এই গোলে আশা টিকে থাকল ডর্টমুন্ডের। জার্মান ক্লাবটি আসা দেখতেই পারে। কারণ, ফিরতি লেগটা তারা খেলবে ঘরের মাঠে। নিজেদের দর্শকদের সামনে খেলার বাড়তি অনুপ্রেরণাটা তো তারাই পাবে। আপাতত প্রথম লেগটা ভুলে যেতে চাইবে ডর্টমুন্ড। ক্লাবের জার্সিতে ৫০০তম ম্যাচের মাইলফলকটা হয়তো মনে রাখতে চাইবেন না ম্যাট হ্যামেলসও।

বিশেষ ম্যাচে তিনি নিজেও কিছু করতে পারেননি। আসলে ম্যাচটার ভাগ্য প্রায় নির্ধারণ হয়ে গেছে প্রথমার্ধেই। ম্যাচ শেষে সেই হতাশা প্রকা করেছেন ডর্টমুন্ড প্রধান কোচ এডিন টেরজিক, ‘প্রথম ৩০ মিনিট (আসলে ৩২ মিনিট) আমাদের জন্য ভালো ছিল না। এটুকু সময়ের মধ্যে আপনি যখন ভুল করে ফেলবেন তখন আসলে (ম্যাচ) শেষ হয়ে যায়।’

জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরে স্বভাবতই খুশি অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ সিমন। বিস্ময়কর হলেও সত্যি এটাই যে, টুর্নামেন্টের নক আউট প এখনও অজেয় থাকার গৌরব ধরে রেখেছেন আর্জেন্টাইন কোচ। প্রতিযোগিতায় স্প্যানিশ ক্লাবটির কোচ হিসেবে ১৭ ম্যাচের ১১টিতেই জিতেছেন সিমন। এ সময় স্রেফ পাঁচটি গোল হজম করেছে দল।