সর্বজনীন পেনশনে গ্রাহক ছাড়িয়েছে ১ লাখ

দেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আশানুরূপ সাড়া মিলেছে। কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর গত সাড়ে আট মাসে গ্রাহক ছাড়িয়েছে ১ লাখ। এসব গ্রাহকরা চাঁদা জমা দিয়েছেন ৫২ কোটি টাকার বেশি। আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।

দেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে আশানুরূপ সাড়া মিলেছে

দেশের বেসরকারি চাকরিজীবী ও পেশাজীবীদের কথা চিন্তা করে দেশে চালু করা হয় সর্বজনীন পেনশন স্কিম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন।

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির শুরুতে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্কিম চালু করা হয়। এরমধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’ স্কিম, নিজস্ব ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’ স্কিম, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’স্কিম এবং নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য রয়েছে ‘সমতা’ স্কিম।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সর্বজনীন পেনশন উদ্বোধনের পর প্রথম মাসে চার স্কিমে গ্রাহক নিবন্ধন করেন ১২ হাজার ৮৮৯ জন। অবশ্য পরে নিবন্ধনের সংখ্যা আরো কমে যায়। পরবর্তী পাঁচ মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে এক-দেড় হাজার করে গ্রাহক বাড়ছিলেন। পরে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সুবিধাদি নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রচার ও সচেতনতা বাড়ানোর ফলে ষষ্ঠ মাস থেকে গ্রাহক নিবন্ধন বাড়তে থাকে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সর্বশেষ সোমবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত বিগত সাড়ে আট মাসে মোট গ্রাহক হয়েছেন ১ লাখ ১ হাজার ২২৬ জন। এসব গ্রাহকের কাছ থেকে মোট চাঁদা জমা পড়েছে ৫২ কোটি ৬৬ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে ৪২ কোটি টাকা।

এদিকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নতুন করে চালু করা হয়েছে 'প্রত্যয়' স্কিম। এতে দেশের স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আওতাভুক্ত হবেন। আগামী ১ জুলাই থেকে যারা এসব প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগ দেবেন, তারা বাধ্যতামূলকভাবে এ স্কিমের অন্তর্ভূক্ত হবেন।