ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী রুশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংসের দাবি

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে তারা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী একটি রুশ যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করেছে, যার ফলে কৃষ্ণ সাগরে তাদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রোববার রাতে সেভাস্তোপল বন্দরে 'সিকলন' নামে পরিচিত এই যুদ্ধজাহাজে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করা হয়েছে। খবর রয়টার্স।

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজ ধ্বংসের দাবি করেছে কিয়েভ

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, গত রোববার ইউক্রেনীয় বাহিনী একটি দূরপাল্লার হামলা চালিয়ে মাইন অপসারণকারী একটি রুশ জাহাজ ধ্বংস করেছে। তবে সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির কথা জানতে আরও সময় লাগবে।

ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ জানান, রোববার রাতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী সেভাস্তোপলে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র জাহাজ সিকলনে হামলা চালায়। পরে ইউক্রেনের নৌবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জাহাজটি ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

ইউক্রেনের নৌবাহিনীর মুখপাত্র দিমিত্রো প্লেটেনচুক এ হামলার ব্যাপারে বলেন, ক্রিমিয়ায় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী শেষ রুশ জাহাজ ছিল ‘সিকলন’। গত জুন থেকে এটি দায়িত্ব পালন করছিল। তবে সক্রিয় থাকলেও কখনোই এটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেনি। রোববারের হামলায় এটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের নিজস্ব শক্তিশালী কোনো নৌবহর নেই। তারপরও ২৭ মাসের যুদ্ধে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরে ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে গেছে দেশটির বাহিনী। এসব হামলার কারণে রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর নৌবহরের বেশিরভাগ অংশ ক্রিমিয়া উপদ্বীপ থেকে দূরে পুনঃস্থাপন করতে বাধ্য হয়েছে।

প্লেটেনচুক বলেন, রুশ প্রকল্প ২২৮০০-এর পাঁচটি যুদ্ধজাহাজের মধ্যে দুটি ধ্বংস করা হয়েছে। দুটি ক্যাস্পিয়ান সাগরে ফিরে গেছে। আর একটি বাকি রয়েছে।

কিয়েভের কর্মকর্তারা দাবি করছেন, রোববারের এই হামলার ফলে ইউক্রেন কৃষ্ণ সাগরে নিজেদের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে এবং সমুদ্র থেকে ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর মস্কোর সক্ষমতাকে বিনষ্ট করে দিয়েছে।

এদিকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। বরং তারা দাবি করে, সম্প্রতি রুশ বাহিনী ক্রিমিয়ায় অভিযান চালিয়ে নয়টি মার্কিন আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। এতে কোনো প্রাণহানি হয়নি, তবে বেশ কিছু আবাসিক ভবনের ক্ষতি হয়েছে।