উখিয়ার ক্যাম্পে গুলিতে তিন রোহিঙ্গা নিহত

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাতজন। আজ সোমবার (১০ জুন) সকালে উখিয়ার ৪ নম্বর (এক্সটেনশন) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এফ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজারের উখিয়ায় একটি রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির

নিহত তিন রোহিঙ্গা হলেন, মো. ইলিয়াছ, ইছহাক ও ফিরোজ খাঁন। আহতরা হলেন- এফ ব্লকের হাছনের ছেলে আব্দুল হক, নজির আহাম্মদের ছেলে আব্দুস শুক্কুর ও আব্দুল মোনাফ।

উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সূত্র জানায়, মিয়ানমারের রাখাইনের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) অনেকেই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে আরেক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা।

বিবদমান গ্রুপ আরএসও এবং আরসার মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। পরে আরসার সন্ত্রাসীরা গুলি করে এবং কুপিয়ে তিন রোহিঙ্গাকে হত্যা করে। গুরুতর আহত হন সাত জন।

জানা গেছে, আজ সোমবার সকালের দিকে রোহিঙ্গা নাগরিক ইলিয়াছকে আরএসও সদস্যরা প্রথমে গুলি ও পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাত-পা কেটে মারাত্মক জখম করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

এ ঘটনার পরপরই আরসা সদস্যরা ক্যাম্পে ঢুকে আরএসওর সমর্থক ইছহাক, ফিরোজ খাঁন, আব্দুল হক, আব্দুস শুক্কুর ও মোনাফসহ বেশ কয়েকজনকে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। তাদের উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে ইছহাক ও ফিরোজ খাঁনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল বলেন, সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন করে সংগঠিত ও নাশকতার চেষ্টায় লিপ্ত। মূলত আধিপত্য বিস্তার নিয়েই সোমবার সকালে হামলা, সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে সন্ত্রাসীরা।