কৃষিক্ষেত্রে অবদানে এআইপি সম্মাননা পাচ্ছেন ২২ জন

দেশের কৃষিখাতে অবদান রাখায় এআইপি (কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) সম্মাননা পাচ্ছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজসহ ২২ ব্যক্তিত্ব। এআইপি নীতিমালার আলোকে ৫টি ক্যাটাগরিতে তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে এআইপি পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ। এবার দেওয়া হচ্ছে ২০২১ সালের পুরস্কার।

কৃষিখাতে অবদান রাখায় এআইপি সম্মাননা দিচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়

কৃষি মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালে দেশের কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। ওই নীতিমালার আলোকে ২০২০ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে এআইপি সম্মাননা। ২০২০ সালে এআইপি পুরস্কার পেয়েছেন ১৩ জন। ২০২১ সালের জন্য দেওয়া হচ্ছে ২২ জনকে। এছাড়া ২০২২ ও ২০২৩ সালের জন্য এআইপি নির্বাচনের কাজ চলমান রয়েছে।

২০২১ সালের জন্য এআইপি নির্বাচিতরা হচ্ছেন, কৃষি বিষয়ক নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব হিসেবে চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাইখ সিরাজ, সমবায় উদ্যোক্তা হিসেবে সাতক্ষীরার ধানদিয়া সিআইজি মহিলা সমবায় সমিতির সভাপতি শিখা রানী চক্রবর্তী ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠক চট্টগ্রামভিত্তিক সংগঠন তিলোত্তমার প্রতিষ্ঠাতা সাহেলা আবেদীন।

জাত বা প্রযুক্তি উদ্ভাবন শ্রেণিতে নির্বাচিত পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তা এম এ মতিন, এসিআই অ্যাগ্রো-বিজনেসের প্রেসিডেন্ট ফারায়েজুল হক আনসারী, বাগেরহাটের ফকিরহাটের উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাশ ও চুয়াডাঙ্গার জনতা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. ওলি উল্লাহ।

কৃষি উৎপাদন, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প ও বাণিজ্যিক খামার স্থাপন শ্রেণিতে ১০ জন এআইপি পুরস্কারে মনোনিত হয়েছেন। তারা হচ্ছেন, টাঙ্গাইলের মধুপুরের কৃষি উদ্যোক্তা মো. ছানোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গার জীবন নগরের গ্রিন প্ল্যানেট অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মো. রুহুল আমীন, ফরিদপুরের খান বীজ ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী শাহীদা বেগম, খুলনার ডুমুরিয়ার কৃষি উদ্যোক্তা সুরেশ্বর মল্লিক, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অ্যাগ্রো বেইজড সোশিও ইকোনমিক্যাল ডেভেলপমেন্ট সার্ভিসেসের চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন।

এছাড়াও রয়েছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মৌচাষী কৃষি উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম, পাবনার ঈশ্বরদীর তন্ময় ডেইরি খামারের স্বত্বাধিকারী আমিরুল ইসলাম, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আল বারাকা মৎস্য খামার অ্যান্ড হ্যাচারির স্বত্বাধিকারী মাছুদুল হক চৌধুরী, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ফলচাষী সিরাজ, বহুমুখী খামারের স্বত্বাধিকারী মো. সিরাজুল ইসলাম ও শেরপুরের মা-বাবার দোয়া ফ্রুট গার্ডেন ও অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মো. হযরত আলী।

রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্য উৎপাদন শ্রেণিতে দুজন এআইপি পুরস্কার পাচ্ছেন দুজন। তারা হচ্ছেন, বৃক্ষরোপণ ও বনসাই নার্সারীর জন্য গাজীপুরের লিভিং আর্ট গার্ডেনের মালিক কে এম সবুজ ও বারোমাসি আম চাষি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের কৃষি উদ্যোক্তা. রফিকুল ইসলাম।

বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত তিনজন হচ্ছেন, সফল বীজ উৎপাদকারী হিসেবে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কৃষি উদ্যোক্তা মো. আবদুল খালেক, বাণিজ্যিক কৃষি খামারি হিসেবে ঢাকার নবাবগঞ্জের অমিত ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মায়া রানী বাউল জৈবসার এবং কেঁচোসার উৎপাদক নীলফামারীর ডোমার উপজেলার অন্নপূর্ণা অ্যাগ্রো সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী রাম নিবাস আগরওয়ালা।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, এআইপি কার্ডের মেয়াদকাল ১ বছর। এআইপিরা দেশের সিআইপিদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন। মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র, সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ এবং সড়ক, রেল, বিমান ও জলপথে ভ্রমণকালে সরকারি গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ সুবিধা পাবেন। এছাড়া নিজের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা এবং বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন এআইপিরা।