দেশজুড়ে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত

রোববার পাবনা, মুন্সীগঞ্জ ও মাগুরায় বিক্ষোভকারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন।

ফাইল ছবি

পাবনা শহরে রোববার বিকেলে বিক্ষোভকারী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থীসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান এবং আরও ১৬ জন আহত হন।

নিহত দুই যুবকের পরিচয় পাওয়া গেছে, তারা হলেন - পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম (১৯) এবং মাহফুজুল আলম (১৬)।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম দুই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম আরও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজ থেকে একটি মিছিল বের করে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড় এলাকায় যায়।

অভিযোগ রয়েছে, ট্রাফিক মোড় এলাকায় আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাদের ওপর গুলি চালায়।

পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জাহিদুল ও মাহফুজুলকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ আহত অবস্থায় আটজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত একজন মারা যান।

এদিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় রোববার সকালে বিক্ষোভকারী, পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজন নিহত এবং সাতজন গুলিবিদ্ধ হন।

নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ঘটনা কাভার করতে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন নিউ এজের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ মইনুদ্দিন আহমেদ শুভন।

শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

অন্যদিকে মাগুরায় রোববার বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে অজ্ঞাত একজন নিহত হন।

মাগুরা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মহসিনউদ্দিন ফকির এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের এক সমাবেশে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানানোর পর রোববার সারা দেশে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে, জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ২০০ জনেরও বেশি মানুষের বিচারের দাবিতে তারা নয় দফা দাবি জানিয়ে আসছিল।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্লাটফর্ম 'বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন'-এর সমন্বয়কারীদের একজন নাহিদ ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শনিবারের আলোচনার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন।

নিউএজ অবলম্বনে