বরং দল পুনর্গঠন করুন, আওয়ামী লীগকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন আজ আওয়ামী লীগকে দল পুনর্গঠন করে পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আহত আনসার সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলবেন না। এখনও দেশের মানুষ আপনাদের সেভাবে মেনে নেয়নি। আমার মনে হয়, দলকে পুনর্গঠন করুন। এই দলের অনেক অবদান আছে।’

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন এলে অংশ নিন। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে দেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই দেশ কি আপনারা অন্যের হাতে তুলে দেবেন? তাহলে তো ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশ অন্যের হাতে তুলে দেওয়া হবে। যা করেছেন, আর করবেন না।’

‘দেশের মানুষ এত তাড়াতাড়ি সবকিছু ভুলে যায়নি। সময় দিন, হয়ত ভুলে যাবে। আপনাদের নেতা-মন্ত্রীরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন,’ বলেন সাখাওয়াত।

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। এই দলের প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা। একসময় দেশের মানুষ এই দলের ওপর নির্ভর করতো।’

সাখাওয়াত বলেন, ‘আর হতাহত চাই না। ইতিমধ্যে পুলিশ, আনসারসহ সব মিলিয়ে ৪০০-৫০০ কিংবা তারও বেশি লোক মারা গেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি উস্কানি দিতাম তাহলে সেনাবাহিনীর গুলিতে আপনারা বেঁচে থাকতেন না। আমরাই বলেছি গুলি করবেন না। কারণ গুলি করে কাকে মারবেন? আপনারা আপনার সন্তানকে, পুলিশকে দিয়ে মেরেছেন।’

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের আগে, সেনাবাহিনীকে জনগণের ওপর গুলি না করার জন্য আহ্বানকারী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সাখাওয়াতও ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিস্বার্থের জন্য দলটাকে নষ্ট করবেন না। এটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, এটা ধ্বংস করার কোনো অধিকার আপনাদের নেই। এটা বাংলাদেশের সম্পত্তি।’

সাখাওয়াত বলেন, ‘আপনারা যদি স্বপ্ন দেখেন যে, পাল্টা অভ্যুত্থান করে আবার ক্ষমতায় আসবেন, তাহলে হাজার হাজার মানুষের রক্ত প্রবাহিত করতে হবে। সেই দায়িত্ব যদি আপনারা নিতে পারেন তাহলে নিন।’

তিনি আরও বলেন, সরকার উৎপাৎনের জন্য ছাত্ররা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে, কোনো রাজনৈতিক দল নয়।

উল্লেখ্য যে, সাখাওয়াত বৃহস্পতিবার নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশ হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।