ঢাকার সব থানার ওসিকে বদলি

ঢাকা মহানগরীর সবগুলো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলি করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে ৩২ জন ওসির বদলির আদেশ আসে। এর আগে ১৩ আগস্ট ১৮ জনের বদলি হয়েছিল। এর ফলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আওতাধীন সব থানার প্রধান বদলি হলেন।

ডিএমপির লোগো

এসব পুলিশ পরিদর্শকদের দেশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, যেখানে তাদের পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

কিছু কর্মকর্তাকে ট্যুরিস্ট পুলিশ, সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়ন বা শিল্প পুলিশে বদলি করা হয়েছে। ওসি থাকাকালীন তাদের যে ‘কমান্ড ক্ষমতা’ ছিল, সেটি আর থাকবে না।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর থেকে সব স্তরে পুলিশের রদবদল হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে বরখাস্ত করে তার স্থলে ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট মাইনুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহীদুর রহমান র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিদর্শক হারুনুর রশীদের স্থলাভিষিক্ত হন।

ঢাকা পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে এবং তার স্থলে সিআইডির উপ-মহাপরিদর্শক মো. মাইনুল হাসানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রাক্তন স্পেশাল ব্রাঞ্চ প্রধান মনিরুল ইসলাম এবং প্রাক্তন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের মতো প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের তিনটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে তিন অতিরিক্ত আইজিপিসহ মোট ৫১ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

শনিবার ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও সহকারী কমিশনার পদের ১৩ কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়। এরপর একই দিন ডিএমপির উপ-কমিশনার পদে আরও সাত কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

পরের দিন একসঙ্গে ৭৩ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে উপ-মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৩১ জন পুলিশ সুপার পদ থেকে পদোন্নতি পেয়েছেন, অর্থাৎ তারা একসঙ্গে দুটি পদোন্নতি পেয়েছেন।