মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান, নয়তো ‘জোরদার’ অভিযানের হুঁশিয়ারি

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ‘জোরদার’ অভিযান চালানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

অমিত শাহ

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছত্তিশগড়ের স্থানীয়দের একটি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। আপনাদেরও তাই করা উচিত। আত্মসমর্পণ করুন! অস্ত্র ত্যাগ করুন।’

‘আর যদি না মানেন, তাহলে আমরা পূর্ণ শক্তিতে অভিযান শুরু করব এবং সফল হব,’ তিনি বলেন। ২০২৬ সালের শুরুর দিকেই নকশাল আন্দোলন নির্মূল করার ব্যাপারে তার সরকার আশাবাদী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মধ্য ভারতের জঙ্গলে দীর্ঘদিন ধরে মাওবাদী আন্দোলন চলছে। নকশাল আন্দোলন নামে পরিচিত এই বিদ্রোহে এ পর্যন্ত দশ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।

১৯৬৭ সালে যে জেলার নাম অনুসারে নকশালদের নামকরণ করা হয়েছিল, সেখানেই তাদের সশস্ত্র অভিযান শুরু হয়েছিল। চীনা বিপ্লবী নেতা মাও সেতুংয়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল এই আন্দোলন।

তারা স্থানীয় উপজাতিদের জন্য জমি, চাকরি এবং অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর অধিকার দাবি করে এবং ভারতের পূর্ব ও দক্ষিণের বেশ কিছু দুর্গম এলাকায় তাদের আধিপত্য বিস্তার করে।

২০০০ সালের গোড়ার দিকে এই আন্দোলন আরও শক্তিশালী হয়। ‘লাল করিডোর’ নামে পরিচিত অঞ্চলে বিদ্রোহীদের দমন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এই বিদ্রোহ অনেকটাই কমে এসেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ১৬০ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে।

২০১০ সালে ৯৬টি জেলায় নকশাল তৎপরতা থাকলেও ২০২৩ সালে তা কমে প্রায় ৪৫টি জেলায় সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত।

জানা যায়, স্থানীয় অবকাঠামো প্রকল্প এবং সামাজিক খাতে নতুন করে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।