বিশ্বব্যাপী নজিরবিহীন বয়কটের মুখে ইসরায়েলের বিশ্ববিদ্যালয়!

গাজা সংঘাতের জের ধরে ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষাবিদরা ব্যাপক আন্তর্জাতিক বয়কটের সম্মুখীন হচ্ছেন। ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ এর বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০টি বয়কটের ঘটনা ঘটেছে।

ইসরায়েলের দুটি বিশ্ববিদ্যালয়

ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানদের অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত তিন শতাধিক বয়কটের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। বেলজিয়ামে সর্বোচ্চ ৪০টিরও বেশি বয়কটের ঘটনা ঘটেছে। এরপরে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫টি, যুক্তরাজ্যে ২০টি, নেদারল্যান্ডসে ১৫টি এবং ইতালিতে ১০টিরও বেশি বয়কটের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এই বয়কটগুলো মূলত সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর একাডেমিক ইউনিয়নগুলোর উদ্যোগে হচ্ছে।

বয়কটের ধরনও ভিন্ন ভিন্ন। প্রায় ৫০টি ক্ষেত্রে ইসরায়েলি শিক্ষাবিদদের লেখা প্রবন্ধ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ৩০টি ক্ষেত্রে তাদের বক্তৃতা বাতিল করা হয়েছে এবং আরও ৩০টি ক্ষেত্রে বিদেশি শিক্ষাবিদরা ইসরায়েলে বক্তৃতা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এছাড়াও ৩০টির মতো গবেষণা ও ছাত্র বিনিময় প্রোগ্রাম স্থগিত করা হয়েছে।

বয়কটের আওতায় ইতিহাস, আইন, প্রত্নতত্ত্ব, ইহুদি অধ্যয়ন, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, প্রকৌশলসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।

ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয় প্রধানদের অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বেলজিয়ামে পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল। সেখানে ইসরায়েলি গবেষকদের সুপারিশ উপেক্ষিত হচ্ছে, তাদের বার্তা মূল্যায়ন করা হচ্ছে না এবং ইসরায়েলিদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় ১৫টি একাডেমিক বৃত্তি বাতিল করা হয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে বয়কট প্রতিরোধে কাজ করা সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইমানুয়েল নাহশোন বলেন, ‘এই একাডেমিক বয়কট এখন আমাদের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।’ বয়কট মোকাবেলায় অ্যাসোসিয়েশন একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে যারা আইনগত, আন্তর্জাতিক ও অন্যান্য কৌশল অবলম্বন করছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এই সংগ্রাম দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। আমরা ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং বৈশ্বিক বন্ধুদের সহায়তায় পরিস্থিতি উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’