গণ-অভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ড মামলায় সাবেক আইজিপি মামুনসহ ৮ জন আদালতে হাজির

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক (অব.) মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানসহ আটজনকে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) হাজির করা হয়েছে।

জিয়াউল আহসান ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন

আইসিটির প্রধান কৌঁসুলি মো. তাজুল ইসলাম জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর বুধবার আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অন্যান্য মামলায় এই আটজনই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক যাত্রাবাড়ী থানার ওসি আবুল হাসান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহ আল কাফী, সাবেক ডিসি (মিরপুর) মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শহিদুর ইসলাম, গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক এবং গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

গত ২৭ অক্টোবর আইসিটি ১৪ জন আসামিকে ১৮ নভেম্বর আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিল।

পরে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ৯ জন সাবেক মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে, অসুস্থতার কারণে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাককে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা যায়নি।

এছাড়াও, আদালত নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান এবং পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাদের ২০ নভেম্বর হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিল।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন, অপহরণ এবং হয়রানিসহ নানা অভিযোগ আইসিটিতে দায়ের করা হয়েছে।

জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান, যা সরকারি চাকরি নিয়ে প্রতিবাদের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়, যার ফলে প্রায় ১,০০০ মানুষের মৃত্যু হয় এবং অনেকে আহত হন এবং শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।