যেসব দেশে গেলে গ্রেপ্তার হতে পারেন নেতানিয়াহু

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) জারি করা এই পরোয়ানার ফলে নেতানিয়াহু বিশ্বের শতাধিক দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না। কানাডা, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডসসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা আইসিসির এই পরোয়ানা মেনে চলবে।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দেইফ (ইব্রাহিম আল মাসরি) নামে পরিচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আইসিসির এই যুগান্তকারী রায় আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অধিকাংশ দেশ রায়টি মেনে চলবে বলে জানিয়েছে।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির এই পদক্ষেপে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয়, ফলে রায় মেনে চলার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই দেশটির।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন গ্রেপ্তারী পরোয়ানা চাওয়ার জন্য প্রসিকিউটরের তাড়া এবং এই সিদ্ধান্তের সমস্যাজনক প্রক্রিয়ার ত্রুটির কারণে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। 

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হত্যাকাণ্ড চালানোর অভিযোগ রয়েছে। যদিও তার তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা কম, তবে আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইতালিতে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। রোম চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ১২৪টি দেশ আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়ন করতে বাধ্য। 

ইইউ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও হাঙ্গেরি নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান আইসিসির রায়ের নিন্দা জানিয়ে নেতানিয়াহুকে সরকারি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ছিল বলে মার্কিন প্রশাসন উদ্বিগ্ন।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয়। আইসিসির কোনো পুলিশ বাহিনী নেই বিধায় সংস্থাটি কোনো দেশকে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের জন্য বাধ্য করতে পারে না। 

সূত্র: এনবিসি নিউজ