আলুর দাম ৮০ টাকা ছুঁই ছুঁই, সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী

রাজধানী ঢাকার বাজারে আলুর দামে লাগাম টানা যাচ্ছে না। গত সপ্তাহজুড়েই দাম ঊর্ধ্বমুখী। অন্যান্য সবজির দামও বেড়েই চলেছে। মৌসুম-বহির্ভূত সরবরাহ সংকটকেই এর জন্য দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, পাইকারি বাজারে প্রতিদিনই আলুর দাম বাড়ছে। সরকার আমদানির অনুমতি দিলেও এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানি শুরু হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

ছবি - সংগৃহীত

শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা বেশি।

অন্যান্য সবজির মধ্যে বেগুন ৮০-৯০, পেঁপে ৪০-৫০, করলা ৮০-১০০, পটল ৫০-৬০, ঢেঁড়স ৬০-৭০, ঝিঙে ১২০-১৪০, ছোট ঝিঙে ৭০-৮০, জিরা ৬০-৭০, চিচিঙ্গা ৮০-৯০ এবং টমেটো ১৫০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। তবে কাঁচা মরিচের দাম স্থিতিশীল ছিল, ১৬০-২০০ টাকা কেজি।

ভোজ্যতেলের দামও ঊর্ধ্বমুখী। খোলা সয়াবিন তেল ১৭২-১৭৩ টাকা লিটার এবং বোতলজাত সয়াবিন ১৭০ টাকা লিটারে বিক্রি হয়েছে। পাঁচ লিটারের বোতল ৮১৫-৮২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাম তেলের দাম ১৬৩-১৬৫ টাকা লিটার।

চালের দামও বেড়েছে। মোটা ও মাঝারি চাল ৫৫-৬৫ টাকা কেজি, নিম্নমানের মিনিকেট ৭০-৭৫ টাকা, ভালো মানের মিনিকেট ৭৮-৮২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের দামও বেশি। দেশি পেঁয়াজ ১৪০-১৫০ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত। ১৮০-২০০ টাকা কেজি। সোনালী মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকা কেজি।

রসুনের দামও বেশি। দেশি রসুন ২৩০-২৬০ টাকা এবং আমদানিকৃত রসুন ২২০-২৫০ টাকা কেজি। চিনির দাম ১৩৫-১৪০ টাকা কেজি। ডিমের দাম অপরিবর্তিত। হালি প্রতি ৫০-৫২ টাকা।

রুই ও কাতল মাছ ৩০০-৪৫০ টাকা কেজি, পাঙ্গাশ ২০০-২৩০ টাকা এবং তেলাপিয়া ২২০-২৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মোটা মসুর ডাল ১০৫-১১০ টাকা, মাঝারি মানের ১১৫-১২০ টাকা এবং ভালো মানের মসুর ডাল ১৩৫-১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।