খন্দকার মোশাররফ: ভারত সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে

বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন শুক্রবার অভিযোগ করে বলেছেন, ভারত বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, ১৮ কোটি বাংলাদেশির ঐক্যের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন

জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ভারত এবং এখানকার কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য এখন কেন সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং সারা বিশ্বে আমাদের মানহানি করছে, আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে? তাদের একমাত্র লক্ষ্য এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং এই সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করা।

৯০-এর দশকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের বিএনপিপন্থী ছাত্রনেতারা স্বৈরাচার পতন দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানের মুখে সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করেন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, ছোটখাটো বিষয় নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বাংলাদেশে কি কেবল তিন মাস ধরে হিন্দু সম্প্রদায় বসবাস করছে? তারা স্বাধীনতার পর থেকেই এখানে সুন্দরভাবে বসবাস করছে।

বিএনপি নেতা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। ‘আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান এই সমস্যার সমাধান করেছিলেন বলে — এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম কিছু নেই। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং বাংলাদেশি। তাহলে কেন আমরা এখানে এ ধরনের বিভাজন সৃষ্টি করব এবং এটি সহ্য করব?’ তিনি বলেন।

বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বারবার গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করেছে। তাই এই দেশের মানুষকে অবমূল্যায়ন করার কোন সুযোগ নেই। জনগণই ঠিক করবে তাদের সরকার কী হবে এবং তারা কীভাবে দেশ চালাবে।

তিনি বলেন, দেশের শান্তি বজায় রাখতে এবং দেশের উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে সব ধর্মের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের ১৮ কোটি মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে যে দেশেই থাকুক না কেন, তারা আমাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রেই সফল হতে পারবে না।

তিনি বলেন, পূর্ববর্তী সরকার সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে বলে বর্তমান সরকার সংস্কারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মোশাররফ সরকারকে নির্বাচন ব্যবস্থার দ্রুত সংস্কার এবং একটি নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রণয়নের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।