‘কোরআনের সৌন্দর্য দেখার পর তা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা অসম্ভব’

ইরানের জাতীয় কোরআন প্রতিযোগিতার ৪৭তম আসরের ফাইনালিস্ট রুকাইয়া রেজাই বলেছেন, পবিত্র কোরআনের সৌন্দর্য যে একবার অনুভব করে, হৃদয়ে ধারণ করে, তার পক্ষে কোরআন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা অসম্ভব।

কোরআন ও রুকাইয়া রেজাই

সম্প্রতি তাবরিজে জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকালে আইকিউএনএ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। দীর্ঘ সাধনার পর কোরআন আয়ত্ত করতে পেরেছেন জানিয়ে রুকাইয়া সাফল্যের পেছনে পরিবার, বিশেষ করে মায়ের অবদানের কথা স্মরণ করেন।

‘মাত্র পাঁচ বছর বয়সে আমার কোরআন শিক্ষার হাতেখড়ি। এই যাত্রায় আমার মা, পরিবার সবসময় পাশে ছিলেন। আমাকে কোরআন শিক্ষার ক্লাসে ভর্তি করিয়ে প্রতিটি ধাপে সহযোগিতা করেছেন,’ বলেন তিনি।

রুকাইয়ার বিশ্বাস, কোরআনের শিক্ষাই প্রকৃত সুখের চাবিকাঠি। কারণ, কোরআন চিরন্তন পথপ্রদর্শক। সামান্য মনোযোগ দিলেই এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হবে যে কেউ। আর তখন কোরআন থেকে দূরে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠবে।

কোরআন শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরে মুখস্থ করার পরামর্শ দিয়ে রুকাইয়া বলেন, ‘এই পথে যত এগোবেন, ততই এর মিষ্টতা উপলব্ধি করবেন। কোরআনের প্রতি এক অসাধারণ আকর্ষণ তৈরি হবে।’

বর্তমানে একটি গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষকতা করছেন রুকাইয়া। শিক্ষার্থীদের কোরআন ও অন্যান্য বিষয়ে অনুপ্রাণিত করতে তিনি বিশ্বাস অর্জনকে গুরুত্ব দেন। কারণ, বিশ্বাস ছাড়া তাদের ওপর কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলা সম্ভব নয় বলে তিনি মনে করেন।

শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী পাঠদানের পদ্ধতি প্রয়োগের ওপর জোর দিয়ে রুকাইয়া বলেন, শিক্ষককে শিক্ষার্থীর বোধগম্য ভাষায় কোরআনের মর্মার্থ ব্যাখ্যা করতে হবে। সাত বছরের শিশুকে তার দৃষ্টিকোণ থেকে, তার পটভূমি বিবেচনায় বিষয়বস্তু উপস্থাপন করলে তারা কোরআন পাঠের মিষ্টতা উপলব্ধি করতে পারবে।

কোরআনের কোন আয়াত তাকে সবচেয়ে বেশি প্রশান্তি দেয়—এমন প্রশ্নের জবাবে রুকাইয়া সূরা আস-সাজদার ১৭ নম্বর আয়াত উল্লেখ করেন। যেখানে বলা হয়েছে, ‘কেউ জানে না যে পরকালে তাদের জন্য কী কী আনন্দ লুকিয়ে রাখা হয়েছে।’ রুকাইয়া বলেন, ‘এই আয়াতটি সব সময় আমার হৃদয়ের গভীরে অনুরণিত হয়।’