সেন্ট মার্টিনে আটকে আছেন সহস্রাধিক পর্যটক

বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্ন্টিনে আটকা পড়েছেন প্রায় দেড় হাজার পর্যটক। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় তিন নম্বর বিপদ সংকেত চলার কারণে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ রুটে চলাচলরত সব ধরনের জাহাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে সেন্টমার্ন্টিনে আটকা পড়েছেন পর্যটকরা।

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে প্রতিদিন যেসব পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কেয়ারী সিন্দাবাদ, কেয়ারি ড্রাইনিং অ্যান্ড ক্রুজ, এলসিটি কুতুবদিয়া, এমবি বাঙালি, গ্রীণ লাইন, বে-ক্রুজ ও এলসিটি কাজল। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় এই যাত্রীবাহী জাহাজগুলোর কোনটাই চলাচল করছে না।

তবে রৈবী আবহাওয়াকে তোয়াক্কা না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এরই মাঝে সেন্টমার্টিন ছেড়ে এসেছে প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী। স্থানীয় মাছ ধরার ট্রলারে করে তারা সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে এসে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।

টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারী সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক শাহ আলম জানান, হঠাৎ করে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ সেন্টমার্টিন দ্বীপে যেতে পারেনি এবং সেন্টমার্টিন থেকেও কোন জাহাজ ফিরে আসেনি। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু করবে।

সেন্টমার্টিন স্টেশনের কোস্টগার্ড কমান্ডার সাব লেফটেনেন্ট মোহাম্মদ হাশেম জানান, ৩ নং সর্তক সংকেত বহাল থাকায় সেন্টমার্টিনে বিভিন্ন হোটেলে পর্যটকরা অবস্থান করছেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল করতে না পারায় তারা টেকনাফ ফিরতে পারছে না। তবে যাদের সমস্যা রয়েছে তাদেরকে আমরা স্পীড বোটে করে সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীরদ্বীপ পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করছি।

টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম জানান, পর্যটকরা নিরাপদে রয়েছেন। আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হলে জাহাজ চলাচল পুনরায় চালু করে আটকে পড়া পর্যটকদের টেকনাফে ফিরিয়ে আনা হবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ঢাকা থেকে গত ১০ মার্চ কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন ঘুরতে গেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনিক, পলাশসহ আরো কয়েকজন। রোববার তারা জানান, বর্তমানে কক্সবাজারেই অবস্থান করছি। আবহাওয়ার কারণে সকল ধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে তাই সেন্টমার্টিন যেতে পারছি না। আমাদের হোটেলের অনেকেই সেন্টমার্টিন গিয়ে আটকে আছেন। আমরা শুনেছি এখনো সেখানে ১ হাজারের বেশি পর্যটক আটকে আছেন। কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্পীড বোটে চলে এসেছেন।

সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, গত কয়েকদিনে সেন্টমার্টিন ভ্রমণে এসে প্রায় হাজার খানেক পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছিল। এরই মাঝে হঠাৎ করে ৩ নং সংকেত জারি হওয়ায় প্রশাসন পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে না করার নির্দেশ দেয়। ফলে দ্বীপে ভ্রমনে আসা পর্যটকরা আটকা পড়েছে। আটকা পড়া পর্যটকদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য আমারা পর্যাটকদের খোঁজ-খবর রাখার চেষ্টা করছি।