ঢাবির প্রথম শহীদ নজির আহমদের ৮২তম শাহাদাত বার্ষিকী পালনের আহ্বান

আগামীকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শহীদ নজির আহমদের ৮২তম শাহাদাত বার্ষিকী। ১৯৪৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ দিনটিকে ‘সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী শহীদ নজির আহমদ দিবস’ হিসেবে পালন করবে।

নজির আহমদ

এ উপলক্ষে রোববার সকাল ৯টায় শহীদ নজিরের সমাধিস্থল আজিমপুর কবরস্থান জিয়ারত, বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান এবং বাদ যোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ ও সদস্য সচিব ফজলুর রহমান শহীদ নজির আহমদকে বিশ্ব মুসলিম ইতিহাসের অন্যতম ‘আইকনিক ইসলামোফবিক ভিক্টিম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তারা অভিযোগ করেন, নজির আহমদকে ইতিহাস থেকে পরিকল্পিতভাবে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।

তারা আরও উল্লেখ করেন, ১৯৫২ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে তার শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হলেও পরবর্তীতে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকি তার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্থাপনাও নামকরণ করা হয়নি।

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের প্রতি শহীদ নজির আহমদের প্রতি ‘বর্ণবাদী ইসলামোফোবিক বিদ্বেষ’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

নজির আহমদ তৎকালীন নোয়াখালী জেলার (বর্তমান ফেনী) আলিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসহ স্নাতক পাস করেন। তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্রনেতা এবং পাকিস্তান আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

১৯৪৩ সালের জানুয়ারিতে মুসলিম ও হিন্দু ছাত্রীদের একটি যৌথ অনুষ্ঠানে ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়া এবং পূজার্চনার বিরুদ্ধে মুসলিম শিক্ষার্থীদের আপত্তির জের ধরে ২ ফেব্রুয়ারি ক্লাস চলাকালীন সাম্প্রদায়িক হিন্দু ছাত্রদের হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।