সুইডেনে গ্যাং সন্ত্রাস বাড়ছে, বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩

সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের উত্তরে অবস্থিত উপসালা শহরে একটি হেয়ার সেলুনে বন্দুকধারীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর হিসেবে পরিচিত উপসালার রাস্তায় বিশাল জনতা ওয়ালপার্গিস বসন্ত উৎসবের প্রাক্কালে এই ঘটনাটি ঘটে। দেশটিতে গ্যাং সন্ত্রাস বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন সরকার। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

বন্দুকধারীর হামলার পর ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে সুইডিশ পুলিশ

পুলিশ নিশ্চিত করেছে, উপসালা শহরের কেন্দ্রস্থলে ভাকসালা স্কোয়ারের কাছে একটি হেয়ার সেলুনে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলি চালানো হয়েছে। গুলি চালিয়ে মুখোশ পরা বন্দুকধারী স্কুটারে করে পালিয়ে। পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে এবং হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত এবং বন্দুকধারীর পরিচয় এখনও স্পষ্ট নয়। বন্দুকধারীকে খুঁজে বের করার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চলছে, একটি হেলিকপ্টার নিয়ে অনুসন্ধানে যোগ দিয়েছে পুলিশ।

সুইডেনে বসন্ত উৎসব ওয়ালপার্গিস উদযাপনের আগমুহূর্তে এমন গুলির ঘটনায় জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ৩০ এপ্রিল রাতে এই উৎসবে মেতে ওঠে দেশটির মানুষ।

সুইডিশ চ্যানেল টিভি৪-কে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, চোখের সামনে সবকিছু দ্রুত ঘটে গেল। তিনটি গুলির শব্দ পেলাম শুধু।

ঘটনাস্থলের পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি জানান, তিনি বাড়িতে রান্না করছিলেন, ঠিক তখনই সামনের রাস্তায় আতশবাজির মতো দুটি শব্দ শুনতে পান।

ওই ব্যক্তি জানান, তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন, উৎসব উপলক্ষে আতশবাজির পোড়ানো হচ্ছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্সের দল দেখে খুব অবাক ও ভীত হয়ে পড়েন।

পুলিশের মুখপাত্র ম্যাগনাস জ্যানসন ক্লারিন বলেন, অপরাধীকে যাতে পালিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য এলাকায় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে তা আবার চালু করা হয়েছে।

সুইডেনের বিচারমন্ত্রী গুনার স্ট্রোমার ঘটনাটিকে ‘নৃশংস সহিংসতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি এ ঘটনায় দোষীকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুইডেনে গুলিবর্ষণ এবং গ্যাং আক্রমণের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এ নিয়ে দেশটিতে উদ্বেগ বাড়ছে এবং সরকার জানিয়েছে, তারা বন্দুক আইন আরও কঠোর করতে চায়।

সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে সুইডিশ শহর ওরেব্রোতে একটি প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্রে গুলিবর্ষণে ১০ জন নিহত হন।