প্রধান উপদেষ্টা: সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আধুনিক ও শক্তিশালী বিমান বাহিনী গঠনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত রাখতে একটি অত্যাধুনিক ও শক্তিশালী বিমান বাহিনী গঠনে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি অনুশীলন পর্যবেক্ষণকালে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি আধুনিক বিমান বাহিনী দেশের প্রতিরক্ষার অপরিহার্য অংশ। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় সক্ষম একটি বিমান বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি আশ্বস্ত করেন যে, ভবিষ্যতে বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান ও রাডার অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

বিমান বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘দেশপ্রেম এবং পেশাদারিত্বই হবে আগামী দিনের নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার মূল ভিত্তি।’

তিনি বাহিনীর সকল সদস্যকে যুগোপযোগী যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জন এবং পেশাগত ও কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রতি মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি নিরাপদ, উন্নত ও শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, ইনশাআল্লাহ।’

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বৈশ্বিক প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই অনুশীলনের মাধ্যমে বিমান বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতাকে সময়োপযোগী করে তুলছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

বক্তৃতাকালে অধ্যাপক ইউনূস মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। একইসঙ্গে তিনি ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে দেশের অধিকার আদায়ে জীবন উৎসর্গকারী শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণী ও জনতার আত্মত্যাগের কথাও স্মরণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত বিমান বাহিনীর সদস্যদেরও তিনি ধন্যবাদ জানান।

এই মহড়াকে শুধু একটি অনুশীলন হিসেবে না দেখে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিমান বাহিনীর পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতির প্রতিফলন হিসেবে আখ্যায়িত করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে কার্যকর আকাশ প্রতিরক্ষার পাশাপাশি বিস্তৃত সমুদ্র অঞ্চলের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন তাকে স্বাগত জানান। এসময় তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।