অবশেষে জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎস

নানা নাটকীয়তার পর জার্মানির পার্লামেন্ট মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা ভোটে রক্ষণশীল নেতা ফ্রিডরিখ মেৎসকে দেশটির নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে নির্বাচিত করেছে। দিনের শুরুতে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার ভোটে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিলেন, যা রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

ফ্রিডরিখ মেৎস

৬৯ বছর বয়সী মেৎস তার নেতৃত্বাধীন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট জোট (সিডিইউ/সিএসইউ) এবং কনিষ্ঠ জোটসঙ্গী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) সংসদ সদস্যদের সমর্থনে চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় দফার ভোটাভুটিতে মোট ৩২৫ জন সংসদ সদস্য মেৎসের পক্ষে ভোট দেন, যেখানে তার বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৮৯টি। ৬৩০ আসনের জার্মানির নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য এই রক্ষণশীল নেতার ৩১৬ ভোটের প্রয়োজন ছিল।

বুন্ডেসটাগে মেৎসের নেতৃত্বাধীন জোটের ৩২৮টি আসন থাকা সত্ত্বেও প্রথম রাউন্ডের ভোটে এই আকস্মিক বিপর্যয় ঘটে। গোপন ব্যালটে ভোট হওয়ায় জোটের কতজন আইনপ্রণেতা প্রথম রাউন্ডে মেৎসের চ্যান্সেলর পদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

ফ্রিডরিখ মেৎস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির দশম চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিলেন। এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে তার দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের (এসপিডি) সঙ্গে জোট সরকার গঠনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়।

নতুন জোট সরকারের কাঠামো অনুযায়ী, সিডিইউ/সিএসইউ জোট পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র এবং অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্ব পালন করবে। অন্যদিকে, চুক্তি অনুসারে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা অর্থ, প্রতিরক্ষা এবং শ্রমসহ মোট সাতটি মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে থাকবে।

উল্লেখ্য, গত আগাম নির্বাচনে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটরা ২৮.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে একক বৃহত্তম দল হিসেবে জয়লাভ করলেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। অপরদিকে, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ১৬.৪ শতাংশ ভোট পেলেও একটি স্থিতিশীল সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জোটসঙ্গী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা