ফখরুল: ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে আর চায় না

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বক্তব্যে বলেছেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষ আর আওয়ামী লীগকে দেখতে চায় না। শনিবার (১০ মে) বিকেলে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলে যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৫ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমাদের গোটা জাতির ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল। হাজার হাজার তরুণ প্রাণ দিয়েছে। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ২০ হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করেছে। ১৭০০ ওপর মানুষকে গুম করেছে। আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ছয় বছর কারাগারে অন্তরীণ করে রেখেছিল। আমাদের তরুণ নেতা, যার দিকে আজ সারাদেশ তাকিয়ে আছে, সেই নেতা তারেক রহমান সাহেব এখনো দেশে ফিরতে পারেননি। এ অবস্থার অবসান হয়েছে শুধু আমাদের তরুণ ভাইদের জন্য।’

এই দীর্ঘ দুঃশাসনের অবসানে তরুণদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময় পার করছি, আমরা একটা অস্বাভাবিক সময় অতিক্রম করছি। কারণ হাসিনা পালিয়েছে, তার প্রেতাত্মারা এখনো আছে। তারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে, বাংলাদেশে আবার তাদের রাজস্ব প্রতিষ্ঠিত করবার। আমাদের তরুণদের সামনে তাদের এ চক্রান্ত সফল হবে না। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের। আমরা যাদের দায়িত্ব দিয়েছি, আমাদের এ দেশকে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে, তারা সঠিকভাবে সেই কাজ করতে পারছেন না। ফলে মাঝে মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ সমাবেশ যখন হচ্ছে, তখন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে সমাবেশ হচ্ছে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে দেখতে চায় না। কারণ, এ আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই মানুষের প্রতি নির্যাতন চালিয়েছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।’

বিএনপির মহাসচিব এ সময় জিয়াউর রহমানের অবদান স্মরণ করে বলেন, “তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।”

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান সবচেয়ে বড় সংস্কার করেছিলেন বাংলাদেশে। একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছিলেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন, বিচার বিভাগকে স্বাধীনতা দিয়েছেন, অর্থনীতিকে মুক্ত করেছেন, আজকের অর্থনীতির যে ভিত্তি, আমাদের পোশাক শিল্প, আমাদের মানুষকে বিদেশে পাঠানো শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান।’

বিএনপির এই নেতার আরও বলেন, ‘ঐকমত্যের মধ্যদিয়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সব ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে আমরা কোনো কিছু করতে দেবো না। সবার আগে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ মাথা উঁচু থাকবে, পৎ পৎ করে পতাকা উড়বে।’