পুতিন: পশ্চিম তীরে বাড়ছে উত্তেজনা, মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে গাজা

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার পরিস্থিতিকে মানবিক বিপর্যয় বলে অভিহিত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।

ভ্লাদিমির পুতিন

শনিবার রাজধানী মস্কোতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে আলাপকালে পুতিন বলেন, 'ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের ওপর গভীরভাবে নজর রাখছে রাশিয়া।  আমরা এই সংঘাতকে গভীর উদ্বেগ এবং সহানুভূতির সঙ্গে দেখছি।'        

তিনি আরও বলেন, 'পশ্চিম তীরে ক্রমাগতই উত্তেজনা বাড়ছে এবং গাজা একটি প্রকৃত মানবিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। ফিলিস্তিনি জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে রাশিয়া তাদেরকে সাহায্য প্রদান অব্যাহত রেখেছে। গত এক বছরে ৮০০ টনেরও বেশি খাদ্য, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়েছে।' 

তিনি জানান, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতির ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমেই ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের অবসান ঘটবে। এর মাধ্যমে স্থায়ী শান্তি অর্জন করাও সম্ভব। 

পুতিন বলেন, 'এই দুটি দেশের মধ্যে  উত্তেজনা কমাতে রাশিয়া আর কী কী করতে পারে সে বিষয়ে আমরা মতামত বিনিময় করব।  আমরা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও সমাধান করব।'  

ফিলিস্তিনের প্রতি রাশিয়ার অব্যাহত সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে আব্বাস বলেন, মস্কো ধারাবাহিকভাবে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারকে সমর্থন করে আসছে।

তিনি গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গাজাবাসী খাদ্য, বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহের তীব্র ঘাটতিতে ভুগছে।    

আব্বাস বলেন, 'আমার প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি সমর্থন করে এবং ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন বা গাজায় বিদেশি প্রশাসন প্রতিষ্ঠার  প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। কোনো আমেরিকান বা অন্য বিদেশিরা গাজা শাসন করতে পারবে না। আমরা এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে চাই। আমরা চাই, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে গাজা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হোক।'  

এদিকে শনিবার গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে অন্তত ৫২ হাজার ৮১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়।  নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি