তিন দফা দাবিতে এখনো শাহবাগ ছাড়েননি জুলাইয়ে আহতরা

তিন দফা দাবিতে রাত থেকে এখনো রাজধানীর শাহবাগ ছাড়েননি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিরা। আওয়ামী লীগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা, জুলাই সনদ প্রকাশ এবং অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

এখনো শাহবাগ ছাড়েননি জুলাইয়ে আহতরা

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, চারদিক ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছেন জুলাইয়ের আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা। ফলে শাহবাগ দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প পথে ঘুরে যানবাহন চলাচল করছে।

জুলাইয়ে আহত আবু হাসান বলেন, ‘শুধু আশ্বাসে কাজ হবে না। বাস্তবায়ন না হলে আমরা এখানেই থাকব। এই ক্ষমতা আমাদের রক্তের বিনিময়ে এসেছে, অথচ আমরা চিকিৎসা পর্যন্ত পাচ্ছি না।’

জুলাইয়ে আহত নাজির আহমেদ আরও বলেন, ‘আমরা উপদেষ্টা হতে চাই না, চাই সম্মান আর সুস্থ জীবন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে, পিলখানার বিচার চাই, জুলাই সনদের ঘোষণা চাই।’

আহত ব্যক্তিদের আরেকজন মোহাম্মদ শাকিল ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা কেন এখনো আহত ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন না? এখনো অসংখ্য আহত হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। এই সরকারকে তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।’

এনসিপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল আন্দোলন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে তিন দিন ধরে টানা কর্মসূচি পালন করছিল। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগের জমায়েতে গিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সোমবার সরকারের প্রজ্ঞাপন জারির পর আনন্দমিছিল করা হবে।’

এরপর সেখান থেকে এনসিপি ও অন্যান্য দলের নেতা–কর্মীরা সরে যান। তবে আহত ব্যক্তিরা সেখানেই অবস্থান করেন।