যুক্তরাষ্ট্রে ঠাঁই পেল দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৯ শেতাঙ্গ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ শরণার্থী পরিকল্পনার আওতায় দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৯ জন শ্বেতাঙ্গ নাগরিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। সোমবার (১২ মে) ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং মার্কিন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, দেশটিতে তাদের শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া হবে। ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্যমতে, এই শ্বেতাঙ্গ নাগরিকরা নিজ দেশে বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ায় তাদের দ্রুত শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।

ডালাস বিমানবন্দরে শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের প্রথম দল

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘আফ্রিকান সংখ্যালঘুদের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়েছে, কারণ তারা নিজেদের দেশে বর্ণ বৈষম্যের শিকার।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে, বিশেষ করে শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। শ্বেতাঙ্গ বা কৃষ্ণাঙ্গ আমার কাছে কোনো পার্থক্য নেই, তবে সেখানে কৃষকদের হত্যা করা হচ্ছে।’

তবে, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ট্রাম্পের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জানিয়েছে, এই নাগরিকরা এমন কোনো নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না যার জন্য তাদের শরণার্থীর মর্যাদা দিতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন করে জানান যে, তার দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যায়ন সত্য নয়।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন যেখানে সাধারণভাবে অভিবাসনের ক্ষেত্রে সব শরণার্থী আবেদন গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে, সেখানে এই শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের দ্রুত আশ্রয়দান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাম্প প্রশাসনের এই সাধারণ শরণার্থী আবেদন বন্ধের পদক্ষেপকে 'নিষ্ঠুর পন্থা' হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সংস্থাটির মতে, ট্রাম্প প্রশাসন বহু কৃষ্ণাঙ্গ ও আফগান শরণার্থীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিমানবন্দরে অবতরণের পর দলটির সদস্যদের এবং তাদের বাচ্চাদের হাতে মার্কিন পতাকা দেখা যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত শরণার্থীদের আশ্রয়দান প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ হলেও, এই দলটিকে দ্রুততার সঙ্গে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) স্বীকার করেছে যে, এই দলটির আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনো জটিল পন্থা অনুসরণ করা হয়নি।

সূত্র: বিবিসি